নেছারাবাদ উপজেলার সন্ধ্যা নদীর মাটি যাচ্ছে উপজেলার ইটভাটাগুলোতে। নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কেটে ইট বানানোয় দিন দিন ভাঙনের মুখে পড়ছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো। বেশি আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর বিদ্যালয়, হাটবাজার ও বসতবাড়ি।

নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার অপরাধে তিনটি ইটভাটা মালিককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল দুপুরে আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. মেহেদী হাছান। অবৈধভাবে মাটিকাটা ট্রলার আটকের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু।

দণ্ডপ্রাপ্ত তিনটি ইটভাটা হল এলবিএফ, সততা ও মর্ডান ব্রিক ফিল্ড। এ সময় আদালত আটককৃত ১৪টি ট্রলারের সাথে আটক হওয়া ৭১ জন হতদরিদ্র শ্রমিককে মানবিক কারণে ছেড়ে দেন। এছাড়াও ১৪টি ট্রলারে থাকা মাটি ভাটা কর্তৃপক্ষের নিজ খরচে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটে দিয়ে আসবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু বলেন, আইন অমান্য করে নদীর তীর থেকে মাটি কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করার অপরাধে মাটি ও বালু ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ অনুযায়ী ওই সাজা প্রদান করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই ইটভাটা তিনটির মালিকরা দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার ভাঙনকবলিত সন্ধ্যা নদীর পাড়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে ভাটায় নিয়ে ইট তৈরি করে আসছিল। গতকাল ভোর রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুর নেতৃত্বে সমদেয়কাঠির বিনাকপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪টি মাটি ভর্তি ট্রলারসহ ট্রলারে থাকা মাটি কাটা মোট ৭৭ জন শ্রমিককে আটক করা হয়। পরে ভাটা কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে ছুটে আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই তিনটি ভাটাকে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।