বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কিছুটা কমলেও ডেঙ্গু রোগী এখনও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ২৫ চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপর দিকে, ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ১ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন, পাবনার সিভিল সার্জন ডা: মেহেদী ইকবাল।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তাঁর দপ্তরে কিটতত্ব বিভাগের কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত হয়েছেন, পাবনা জেলা শহরে এডিস মশা ( ডেঙ্গু জীবাণু বহন) নেই । অপর এক সূত্রে জানা গেছে, এডিস মশা না থাকলেও অন্যান্য মশা রয়েছে। এই সব মশা ডেঙ্গু রোগ না ছড়ালেও ফাইলেরিয়া, ম্যালেরিয়া, গোদ রোগ ছড়াতে পারে। এই সব মশা ধ্বংস করতেও ওষুধ ছিটানো প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
আজ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা: রঞ্জন কুমার দত্তের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাবনার সিভিল সার্জন জানান, গতকাল এনএস-১ কিটস পাবনায় পৌঁছেছে। রোগীদের ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আর বাইরে যেতে হবে না। এক নির্ভর যোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন, পাবনা শহরের জুবলী ট্যাংক পাড়ায় আনিস (৫০) নামে একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্ট ও সরকার ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার পর পাবনা ল্যাব এইড, শিমলাসহ কয়েকটি ডায়গোনস্টিক সেন্টার ড্ঙেগু রোগ পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। শুধু কিমিয়া ডায়গোনস্টিক সেন্টার সরকার নির্ধারিত মূল্যে গতকাল পর্যন্ত ৭ জনের পরীক্ষা করেছেন। দুই জনের পজিটিভ রেজাল্ট পাওয়া গেছে। এই ডায়গোনস্টিক সেন্টার শুধু সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক কর্তৃক রেফার্ড করা রোগীর ডেঙ্গু রোগ পরীক্ষা করেছেন। এই ডায়গোনস্টিক সেন্টারের পরিচালক শামীম আহমেদের উদ্ধৃতি দিয়ে অজয় কুমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগ বিস্তার হওয়ার পর রাজধানী ঢাকায় এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী এনএস-১ কিটস ২৮০ টাকার স্থলে ৪৮০ টাকা বৃদ্ধি করে অধিক মুনাফা অর্জন করা ছিল। তবে এই অবস্থা রোহিত হয়ে যাবে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (হু) কিটস দিচ্ছে, সরকারও কিটস আমাদানী করছেন। অধিক মুনাফা অর্জনকারীদের অসাধু তৎপরতা এতে বন্ধ হয়ে যাবে।
অপরদিকে, পাবনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সেমিনার করে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সচেনতার বিষয়ে বললেও, তাঁরা যেটা বলতে চাইছেন, ডেঙ্গু রোগ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় ঢাকা থেকে মানুষজন পবিত্র ঈদুল আযহায় যেন না আসেন। তারা ঢাকাতেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হওয়ার পর ট্রার্ভিলিং করবেন। ডেঙ্গু রোগ নিয়ে এই সময়ে জেলা শহরে আসলে মহামারি আকারে ডেঙ্গু রোগ দেখা দিতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।