নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস (টিটি) ফেডারেশন এখন দূর্নীতি, অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার আখড়ায় পরিণত হয়েছে, এমন অভিযোগ খেলোয়াড় সমিতির। আর এ জন্য তারা কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনিরকে। টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সমিতির দাবী, এই হাসান মুনিরের স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই ফেডারেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা বিপথে পরিচালিত হচ্ছেন। তার দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে একাট্টা হয়ে খেলোয়াড় সমিতি মুনিরের পদত্যাগ দাবী করেছে।
গতকাল শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড় সমিতি’র নব-গঠিত কমিটির কর্মকর্তারা এমন দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড় সমিতির সভাপতি ও জাতীয় দলের তারকা খেলোয়াড় মানস চৌধুরী বলেন,‘ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খোন্দকার হাসান মুনির এক সময় খুব ভালো মানুষ থাকলেও এখন তেমনটা নেই। তিনি এখন কথায় কথায় খেলোয়াড়দের সঙ্গে অসদাচরন করেন। খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্ত:কোন্দল সৃষ্টি করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। প্রচুর মিথ্যা কথা বলেন। আমার ধারণা উনি একজন মানসিক রোগী। উনার চিকিৎসার প্রয়োজন। বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলাদেশ টেবিল টেনিসের ‘বিষফোঁড়া’ এখন খোন্দকার হাসান মুনির।’ তিনি আরো বলেন,‘আমরা হাসান মুনিরের পদত্যাগ চাই। এ দাবী নিয়ে আমরা ফেডারেশনের সভাপতি’র কাছে যাবো। প্রয়োজনে ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাবো।’
প্রায় ৩২ বছর আগে খেলোয়াড় সমিতি গঠিত হলেও কখনো এই সংগঠনের কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের অসুবিধার কথা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেননি। হঠাৎ করেই তারা ফেডারেশনের এক কর্মকর্তারা বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন। এ প্রসঙ্গে মানস বলেন, ‘এতদিন আমাদের মধ্যে একতা ছিল না। এখন আমরা এক হয়েছি। ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির অন্য কারো বিরুদ্ধে আমাদের অভিযোগ নেই। একমাত্র হাসান মুনিরের বিরুদ্ধেই যত অভিযোগ। কারণ উনিই কমিটির বাকি সবাইকে পরামর্শ দিয়ে পরিচালিত করেন।’
যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই হাসান মুনির বলেন, ‘আগে বিভিন্ন গেমসের ক্যাম্পে প্রথম দিকে যোগ না দিয়েও শেষের ১৫ থেকে ২০ দিন আগে এসে মানস ক্যাম্পে যোগ দিতেন। সেটা আমি মেনে নিতাম। জাতীয় দলের আরেক সিনিয়র খোলোয়াড় খোন্দকার মাহবুব বিল্লাহ মাসের পর মাস বিনা কারণে ফেডারেশনের রুম ব্যবহার করেছেন। আমি কখনো কিছু বলিনি। কিন্তু এবার সাউথ এশিয়ান গেমসের ক্যাম্প শুরুর আগে মানসের এমন আবেদন নাকচ করে দিয়েছি। আর মাহবুবকে বিনা ক্যাম্পে রুমে থাকতে নিষেধ করেছি। তাই এখন আমি তাদের শত্রæ হয়ে গেছি। আগে ভালো ছিলাম, এখন তাদের দৃষ্টিতে খারাপ লোক।’
ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক শেখ মো: জাহাঙ্গীর আলমের কথা, ‘টেবিল টেনিস ফেডারেশন এককভাবে কারোই সম্পত্তি নয়। কর্মকর্তাদের পরিচালনায় পরিচালিত হয় এটি। কারো সঙ্গে যদি ব্যক্তিগত দ্ব›দ্ব থাকে, তাহলে ফেডারেশনের স্বার্থে বাইরে না আনাই উচিত। আমরা চাই, খেলোয়াড়রা ভালো খেলে দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু বহন করবেন। তাদের জন্য যা করনীয় তাই করবো আমরা।’ তিনি যোগ করেন,‘এটা নির্বাচিত কমিটি। কারো পদত্যাগ দাবী করলেইতো হবে না। তার যদি অনিয়ম থাকে, তাহলে বলা যেত। আমাদের চোখে মুনিরের কোন অনিয়ম ধরা পড়েনি। তাই তার বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।’
মানস ও মাহবুব প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মানস ও মাহবুবদের দিয়ে আমি দেশের জন্য কিছুই আনতে পারবো না। সেই সময় এখন আর নেই। নুতনদের তুলে আনতে হবে। সে কাজ করতে গিয়েই আজ তাদের রোষানলে হাসান মুনির।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।