মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রথমে কেরালার সাংসদ শশী থারুর, তারপর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। ভারতের শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের সভাপতির পদ শ‚ন্য থাকায় দলের কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সংশয় তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করলেন দুই কংগ্রেস নেতা। অমরিন্দর দলের শীর্ষপদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকে বসানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। থারুরও কংগ্রেসের মাথা হিসাবে প্রিয়াঙ্কাকেই দেখতে চান বলে জানিয়েছেন। তাদের দাবি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কেরালার কংগ্রেসী সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শশী থারুর রোববার এক সাক্ষাৎকারে জানান, কংগ্রেসের মাথা হিসাবে তার প্রথম পছন্দ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কারণ তার মধ্যে ‘নিরপেক্ষ একটি ক্যারিশমা’ আছে। তার মধ্যে দাদী ইন্দিরা গান্ধীর ছায়া আছে বলে মনে করেন তিনি। তার কথায়, উত্তরপ্রদেশ অল্প সময়ে প্রিয়াঙ্কা তার সাংগঠিনক প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। যদিও বাস্তবে লোকসভা ভোটে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে খারাপ ফল উত্তরপ্রদেশে করেছে কংগ্রেস। তবে তাও গান্ধী পরিবারের প্রতি তার আনুগত্য বার বার থারুর কথায় প্রতিভাত হয়েছে। তবে রাহুল সাফ জানান, তিনি চাননা গান্ধী পরিবারের কেউ কংগ্রেসের সভাপতি বা সভানেত্রী হোন। তাহলে গান্ধীর বিকল্প কাউকে বাছতে হবে। তবে শশী চান কংগ্রেস সভাপতি বাছাই নিয়ে প্রয়োজনে নির্বাচন করা উচিত। আর তেমন হলে দলে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হবে বলে বিশ্বাস করেন শশী থারুর।
এর আগে অমরিন্দর জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভাপতি পদে যোগ্যতম ব্যক্তি হলেন প্রিয়াঙ্কা। কংগ্রেসের শীর্ষপদে বসলে প্রিয়াঙ্কা দলের সর্বস্তর থেকে সমর্থন পাবেন। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি বলেন, ‘কংগ্রেস একটি গণতান্ত্রিক দল। এখানে বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী মতামতের সহাবস্থান থাকে। একজন নেতা বা কর্মী তার পছন্দের কাউকে দলের সভাপতি হিসাবে দেখতে চাইতেই পারেন।’ রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, মনীশের এই বক্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতবাহী। প্রিয়াঙ্কাকে সভাপতি করার দাবি উড়িয়ে না দিয়ে তিনি একাধিক সম্ভাবনার দরজা খোলা রাখলেন।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর কঠিন সঙ্কটে ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেস। নির্বাচনে পরাজয়ের পর গত ২৫ মে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে এখনও পর্যন্ত তার পদত্যাগপত্র গ্রহন করেনি দলের পরিচালন সমিতি (সি ডব্লিউ সি)। তবু তিনি তার সিদ্ধান্তে অনড়। তাই রাহুলকে বাদ দিয়েই এখন কংগ্রেসকে সভাপতি নির্বাচিত বা মনোনীত করতে হবে। এখন সব ছেড়ে এটাই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মনে করেন শশী থারুর। তার কথায়, একটা দলের মাথা বেশিদিন না থাকাটা দলের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এরফলে দলের কর্মীদের মনেবল ভেঙে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
কেরালার আরেক কংগ্রেস নেতা ভেনুগোপাল অবশ্য বলেন, ‘থারুর ঠিক বলেননি। বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ নেই। একথা ঠিক যে রাহুল গান্ধি পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তিনি নিজেই জানিয়েছেন পরবর্তী সভাপতি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন। তিনি কাজ চালাচ্ছেনও। যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত তিনিই নিচ্ছেন।’ সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।