প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ভারতের জি বাংলার সঙ্গীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র চ্যাম্পিয়ন হলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার মেয়ে অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। আর বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী মাঈনুল আহসান নোবেল যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছেন। প্রতিযোগিতায় বিচারকদের রায়ে যৌথভাবে প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন গৌরব ও স্নিগ্ধজিৎ। নোবেলের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় রানার্সআপ হয়েছেন প্রীতম। রোববার দুই বাংলার জনপ্রিয় এ রিয়েলিটি শোর চূড়ান্ত পর্ব প্রচার হয় জি বাংলায়। ফলাফল ঘোষণার পর ফেইসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনার ঝড়। বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলা ভাষাভাষী সঙ্গীতপ্রিয় মানুষেরা এই ফলাফলকে পক্ষপাতমুলক ফলাফল বলে আখ্যায়িত করেন। অনেকে এই ফলাফলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেন।
নোবেলের ছবি শেয়ার করে জেনায়েদ হোসেন ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘নোবেল ভাইকে বলে দিও, মন খারাপ করার দরকার নাই। ইন্ডিয়ানরা জন্মগতভাবে এইরকম ই দুর্নীতিবাজ! ক্রিকেট থেকে শুরু করে রিয়ালিটি শো পর্যন্ত এরা এদের জন্মগত স্বভাবটা ফুটিয়ে তুলেছে। আর অরিজিত সিং, মোনালী ঠাকুরসহ অনেকেই রিয়েলিটি শোতে অংশগ্রহণ করে চ্যাম্পিয়ান হয়নি। কিন্তু তার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তুমিও একদিন সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে, ইনশা আল্লাহ।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে এস বি শাওন লিখেন, ‘ওটা কি সা রে গা মা পার আনুষ্ঠান? না, ওটা চিটারে কারখান! আই লাভ ইউ বস। চিটারদের জন্য তোমাকে আজ যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হতে হলো।’
‘১ম স্থান নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না। কিন্তু গৌরব/ সিগ্ধজিত কি করে ২য় হলো? যাদের গান শুরু হলে মানুষ চ্যানেল পাল্টে মাহফুজুর রহমানের গান শুনত। আমি এ রায়কে বর্জন করলাম।’ - ফলাফল প্রত্যাখান করে লিখেন কে এম আরিফ।
ভারতীয় নাগরিক আঙ্কিতা দত্ত লিখেন, ‘আমরা ভারতীয় হিসাবে তোমার গান কে খুব ভালোবাসি।ভবিষ্যতে আরো অনেক গান শুনতে চাই তোমার থেকে। আমরা তোমার থেকে যে গানগুলো শুনেছি, সেগুলো অসম্ভব সুন্দর। সেখানে তুমি কি স্থান অর্জন করলে সেটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। আমাদের ভারতবাসির কাছে তোমার গান সারা জীবন অমর হয়ে থাকবে। আরো এগিয়ে যাও।’
‘আমি একজন ভারতীয় হলেও আমি বাঙালি আর তাই তোমার মুখে বাংলা গান শুনলে আমার খুব ভালো লাগে। তুমি শুধু গলাতেই নয়, আচার ব্যবহার, আর রুচিতেও সবার থেকে আলাদা। তাই তুমি ইউনিক ম্যান নোবেল ম্যান। তুমি শুধু বাংলাদেশেরই না, ওয়েস্ট বেঙ্গল এরও গর্ব। বিচারে যাই হোক না কেনো, আমরা ইন্ডিয়ান বাঙালি ফ্যানরা তোমার সাথে ছিলাম, আছি আর থাকব। তোমার আরো সাকসেস কামনা করি। উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছও তুমি, ব্যাস। অনেক ভালোবাসা ওয়েস্ট বেঙ্গল, ইন্ডিয়া থেকে। ’ - লিখেছেন আরেক ভারতীয় পুনম মজুমদার।
এফ এম আতিউর রহমান তার টুইটারে লিখেন, ‘রাজনীতির অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন না হলেও, জনতার চ্যাম্পিয়ন তুমি (যদিও রেজাল্টটা ১মাস আগেই জানা ছিল, শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষায় ছিলাম)। এধরনের মানহীন বিচার প্রক্রিয়া তোমার পথচলা রুখতে পারবে না, কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে তোমার প্রতি যে ভালোবাসা ও দোয়া বহমান, তা এক সময় তোমাকে জগত বিখ্যাত করে বিচারকদের ভুল প্রমাণ করবে। ’
‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। চ্যাম্পিয়ন হতেই হবে এমন কোন কথা নেই! ভিন দেশে নিজের দেশকে, নিজের গানকে তুলে ধরছেন এতেই ১৬ কোটি মানুষ খুশি। আমাদের কাছে আপনি চ্যাম্পিয়ন হয়েই গেছেন। লাভ ইউ নোবেল ম্যান।’ - মানিক পলের মন্তব্য।
ফেইসবুক, টুইটার মত ইউটিউবেও এই ইস্যুতে প্রকাশিত হয়েছে অসংখ্য ভিডিও। সেখানে তারা এই ফলাফলের সমালোচনার পাশাপাশি বিচারকদের কারচুপি ও নানা নাটকীয়তাসহ সা রে গা মা পা’র পক্ষপাতমুলক কার্যালাপ তুলে ধরেন।
ফলাফলের পর মাঈনুল আহসান নোবেল তার ফেইসবুক পেইজ ‘নোবেল ম্যান’-এ লিখেন, ‘সারেগামাপা আমার জন্য একটা দীর্ঘ জার্নি। এই জার্নিতে আমি অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি এবং ভক্তসহ সবার ভালোবাসা পেয়েছি। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। বিচার প্রক্রিয়া কিংবা আমার রানারআপ হওয়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইনা। শুধু বলব, আমরা বাংলাদেশের সবাই একেকটা নোবেল। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। তাই আমরা সবাই চ্যাম্পিয়ন। সবার ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে সামনে পথ চলতে চাই।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে জি বাংলায় শুরু হওয়া এ আসরে নির্বাচিত ৪৮ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন অবন্তি সিঁথি, তানজীম শরীফ, রোমানা ইতি, মেজবা বাপ্পী, আতিয়া আনিসা, মন্টি সিনহা ও মাঈনুল আহসান নোবেল। প্রতিযোগিতার দৌঁড়ে অন্যরা ছিটকে গেলেও চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নেন গোপালগঞ্জের মাঈনুল আহসান নোবেল। নোবেল ছাড়া সা রে গা মা পার এবারের চূড়ান্ত পর্যায়ে ওপার বাংলা থেকে যারা নির্বাচিত ছিলেন, তারা হলেন- সুমন মজুমদার, অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, গৌরব সরকার, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক ও প্রীতম রায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।