Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাউজানে স্বামী পুকুরে ডুবে গেছে বলে ডুবুরী দিয়ে ৩ ঘন্টা তল্লাসী!

রাউজান (চট্টগ্রাম) | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩৬ পিএম

রোববার ভোর ৪টায় স্ত্রীকে না জানিয়ে নোয়াপড়ায় মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শীল পাড়ার মহেন্দ্র কবিরাজ বাড়ির সুদীর কুমার শীলের পুত্র রঞ্জিত কুমার শীল (৬০)। বাড়িতে রেখে যান মোবাইল ফোন, জুতাও। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রী চারদিকে খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান পাননি। স্ত্রীর সন্দেহ প্রতিদিনের মতো সকালে গোসল করতে গিয়ে হয়তো আর ফিরেনি। তাই পুকুরে ডুবে গেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে খবর নিলেও রঞ্জিতের মামার বাড়িতে খবর নেয়া হয়নি। পরে স্থানীয়রা রাউজান ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি ডুবুরী দল এসে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাপক তল্লাসী চালায়। লাশের সন্ধান না পেয়ে পুকুর থেকে উঠে যান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল। রঞ্জিতের স্ত্রী স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সমীর দাশ গুপ্তের পরামর্শক্রমে বিকেল ৫টায় রাউজান থানায় নিখোঁজ ডায়েরী করতে যাচ্ছিলেন। তিনি সড়কে থাকা অবস্থায় বাড়ির লোকজন ফোনে জানান তার স্বামী বাড়ি ফিরেছেন। রঞ্জিতের স্ত্রী থানায় না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যান। রঞ্জিত ফিরে আসার খবরটি স্থানীয়রা রাউজান ফায়ার সার্ভিসে দেয়ার পর আবারো রঞ্জিতের বাড়িতে ছুটে যান আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জাহেদ চৌধুরী ও রাউজান ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও ডুবুরী দলের সদস্যরা। রঞ্জিত জীবিত ফিরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা চলে যান। এই প্রসঙ্গে রাউজান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, রঞ্জিতের স্ত্রী ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়েছেন তার স্বামী গোসল করতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। তাই আমরা বিষটি গুরুত্বের সাথে নিয়ে আগ্রাবাদ থেকে ডুবুরী এনে পুকুরে ব্যাপক তল্লাসী চালিয়েছি। পরে আমরা খবর পায় তিনি জীবিত ফিরেছেন। পরিবারের দাবি তিনি আগে কখনো এই ধরনের কাজ না করলেও কথাবর্তায় বোঝা যাচ্ছে তিনি মানসিক ভারসম্যাহীন লোকের আচারণ করেছেন। রঞ্জিতের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তার মামাতো ভাই অসুস্থ জেনে তিনি ভোরে ভোরে নোয়াপাড়ায় গিয়েছিলেন। সকাল থেকে সেখানেই ছিল। মোবাইল ফোন ও জুতা বাসায় রেখে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, আমি কিভাবে গেছি তাও জানিনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ