পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্র থেকে শুরু করে শেকড় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের ভিতরেই এরশাদের মুখচ্ছবি দেখছেন। তারা জিএম কাদেরের উপর আস্থাশীল। দলের অভ্যন্তরে এ অবস্থা বুঝে রণেভঙ্গ দিয়েছেন রওশন এরশাদ। ‘জিএম কাদের জাপার চেয়ারম্যান নন’ বিবৃতি দিলেও এখন তাকে চেয়ারম্যান মানতে রাজী হয়েছেন। তবে তার ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, পিছু হটেছেন রওশন এরশাদ। তিনি জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে মানতে রাজী। তবে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে রওশনের এরশাদের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এতে জিএম কাদেরও রাজী।
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আমি আগেও বলেছি ভাবির (রওশন) সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। উনি আমাকে ছোটবেলা থেকে সন্তানের মত লালন পালন করেছেন। উনি আমার মাথার উপর বটগাছের ছায়ার মত থাকবেন। উনি যেভাবে আমাকে দিক-নির্দেশনা দিবেন পার্টি ঠিক সেভাবেই পরিচালিত হবে।
সাংবাদিকরা জানতে চাইলে বিরোধী দলের উপনেতার রওশনের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি বলেন, আমরা জিএম কাদেরের বিপক্ষে নই। আমরা সবাই রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরসহ সবাইকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ম্যাডামের (রওশন) এ বয়সে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। উনি চান সম্মান। জিএম কাদের তার সাথে পরামর্শক্রমে দল পরিচালনা করবেন এটাই ম্যাডামসহ সকলের প্রত্যাশা।
জানা যায়, ‘জিএম কাদের পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যান নন’ এই মর্মে গত ২২ জুলাই গভীর রাতে রওশন এরশাদসহ পার্টির দশজন প্রেসিডিয়াম ও এমপির নামে একটি বিবৃতি দেন। সেই বিবৃতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ও বিতর্ক হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সেই বিবৃতি দেয়ার পক্ষে ছিলেন না রওশন এরশাদ। এরশাদকে আইসিইউতে রেখে যারা মন্ত্রী হওয়ার জন্য দৌঁড়ঝাপ করে ব্যর্থ হন তারা রওশনকে অনেকটা ভূল বুঝিয়ে ও কাকুতি-মিনতি করে ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করান। উক্ত বিবৃতিতে নাম থাকা ৯ জনের মধ্যে ৯জনই জানান তারা স্বাক্ষর করিনি। তবে তারা বলেন, রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের সমন্বয়েই দল পরিচালিত হোক। এ ক্ষেত্রে জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান ও রওশন এরশাদ সংসদে বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করবেন। জানতে চাইলে প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, রওশন এরশাদ পার্টির সর্বজন স্বীকৃত শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি। কিন্তু সারাদেশে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য যে বয়সের প্রয়োজন, সেই বয়স এখন তার নেই। জনতার বন্ধু জিএম কাদের একজন উচ্চ শিক্ষিত, দুর্নীতিমুক্ত ও বিনয়ী এবং সর্বমহলে তার একটি উজ্জল ভাবমূর্তি রয়েছে। তিনি হচ্ছেন জাপা নেতাকর্মীদের স্বপ্নের রাজনৈতিক নেতা, তার ও রওশনের নেতৃত্বে পার্টি ঐক্যবদ্ধ। এটিইউ তাজ রহমান বলেন, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরাও চান রওশন এরশাদ ও জিএম কাদেরের সমন্বয়ে পার্টি পরিচালিত হোক। পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয় বলেন, চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে মনে রাখতে হবে তার দলের বাইরেও সর্বমহলে স্বচ্ছ একটি অবস্থান রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।