Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ ‘বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৯’

মনিরুল ইসলাম দুলু | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৯, ৫:২৪ পিএম

বাঘ বাড়াতে শপথ করি ,সুন্দরবন রক্ষা করি । শ্লোগান সামনে রেখে আজ সোমবার ২৯ জুলাই সোমবার পালিত হবে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৯’। বাঘ আছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করবে।

জানা গেছে, সুন্দরবন সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বনভূমি হিসেবে অখন্ড বন যা বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অববাহিকার সমুদ্রমূখী সীমানা এই বনভূমি অবস্থিত যা বাংলাদেশ ও ভারত জুড়ে বিস্তৃত । ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬,০০০ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে।সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর বাংলাদেশ ও ভারতীয় অংশ একই নিরবচ্ছিন্ন ভূমিরূপের অংশ হলেও ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের সূচিতে ভিন্ন ভিন্ন নামে সূচিবদ্ধ হয়েছে ।বাংলাদেশ অংশের নাম হল সুন্দরবন ও ভারত অংশের নাম হল সুন্দরবন জাতীয় পার্ক। বন বিভাগ থেকে করা ওই জরিপে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা মাত্র ১১৪ টি। বাঘকে রক্ষা করার জন্য আজ ২৯ জুলাই সোমবার পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৯’। বাঘ বাড়াতে শপথ করি ,সুন্দরবন রক্ষা করি -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ‘বিশ্ব বাঘ দিবস ২০১৯’পালিত হবে । বাঘ আছে বিশ্বের এমন ১৩টি দেশ একযোগে দিবসটি পালন করবে।

সুন্দরবন একাডেমির পরিচালক সুভাষ বিশ্বাস জানান ,সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে, আর বাঘ সুন্দরবন রক্ষা করে । তাই বাঘকে রক্ষা করতে হরে। কঠোর ভারে আইন প্রয়োগ করতে হবে ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপার) বাগেরহাট শাখা সভাপতি নুর আলম শেখ জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ,চোরা শিকারীদের হানা ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের জন্য বাঘের সংখ্যা কমে গেছে । সুন্দরবন ও বাঘের আবাস স্থল নিরাপদ রাখতে হবে ।তাহলের বাঘের সংখ্যা আবার বৃদ্ধি পাবে ।

বাঘ নিয়ে কাজ করে এমন এনজিও ”টাইগার টিমের” টিম লীডার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের অস্তিত্ব ও বাঘ রক্ষায় কাজ চলছে।এখন বাঘ ও বন্য প্রাণী লোকালয়ে এলে স্থানীয়রা তা হত্যা না করে সুন্দরবনে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।
এনজিও কোডেক,ফিল্ড অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি সুন্দরবনের বাঘ গননা জরিপ-২০১৫’র ফলাফলে দেখা গেছে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘ রয়েছে ১০৬টি। আর ২০১৮ সালে জরিপে ১১৪টি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে নানা উদ্যোগ সরকারী ও বেসরকারী পর্যায় কাজ করছে ।

সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড.শেখ ফরিদুল ইসলাম জানান,সুন্দরবন ও সকল বন্য প্রাণী আমাদের রক্ষা করতে হবে । কয়েক বছর আগেও সুন্দবনে বাঘের সংখা ছিল প্রায় ৬শ । অধিক লোভে একটি মহল এই বাঘ হত্যা করতে করতে এখন বাঘের সংখা মাত্র ১১৪টি । এই সকল লোভি লোকদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে বাঘের সংখ্যা এত কমতোনা ।
পরিবেশ ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার জানান , বাঘ রক্ষা ও তাদের বংস বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে সরকার । তাই বাঘ গননা জরিপ-২০১৫’র ফলাফলে দেখা গেছে বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘ ছিল ১০৬টি। আর ২০১৮ সালে জরিপে ১১৪টি বাঘের অস্থিত্ব পাওয়া গেছে । তার মানে হলো বাঘের সংখ্যা আবার রাড়তে শুরু করেছে । তিনি হুমিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, বন্য প্রাণী শিকারিদের কোন ছাড় দেওয়া হবেনা ।
বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ, কুমির ও সাপ সহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত সুন্দরবন । জরিপ মোতাবেক ১১৪টি বাঘ ও ৩০,০০০ চিত্রা হরিণ রয়েছে এখন সুন্দরবন এলাকায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্ব বাঘ দিবস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ