Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাজা ভোগকারীদের মূল স্রোতে আনতে হবে

সেমিনারে বিচারপতি মো. ইমান আলী

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

সুপ্রিমকোর্ট স্পেশাল কমিটি ফর ‘জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটি’র সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. ইমান আলী বলেছেন, সাজা ভোগকারী অপরাধীদের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেয়ার এখনই সময়। এ জন্য বিচারকদের জন্য উপযুক্ত হাতিয়ার হবে ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ আইনের অনুসরণ। অভ্যাসগত অপরাধী না হলে আমাদের উচিৎ তাদের সংশোধনের সুযোগ দেয়া। ‘প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০-এর বাস্তবায়নে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। গতকাল শনিবার সুপ্রিমকোর্ট অডিটোরিয়ামে জুডিশিয়াল রিফর্ম কমিটি, সুপ্রিম কোর্ট ও জার্মান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশ (জিআইজেড) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং অতিরিক্ত কারা-মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন। এ ছাড়া সমাজসেবা অধিদফতরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, রুল অব ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. ইমান আলী আরো বলেন, তিন বছর কিংবা তার কম সাজা হলে নানা রকম শর্ত দিয়ে প্রবেশন অফিসারদের মাধ্যমে এসব আসামিকে জামিন দেয়া যেতে পারে। তাতে কারাগারে অতিরিক্ত চাপ কমে আসবে। যাদের জেলের ভাত খাওয়ার শখ নেই তারা এসব শর্ত মেনে সেই সুযোগ নেবেন। তিনি বলেন, অনেকেই আইনটি সম্পর্কে জানতেন না বা অবগত ছিলেন না। যেখানে সাজার পরিমাণ কম সেখানে এ আইনের প্রয়োগ সম্ভব। তবে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদন্ডের বেলায় এটি প্রয়োগ করা সম্ভব নয়। আইনটি ১৯৬০ সালের কিন্তু এখনও এটি তেমন প্রয়োগ সম্ভভ হয়নি। এটি প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি। আইনটি সম্পর্কে অনেকেই জানতেন না। বিচারকদের পাশাপাশি এ আইনের বিষয়ে আইনজীবীদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন। কারাবন্দী কমিয়ে কারাগারের পরিবেশ ও প্রতিবেশ রক্ষায় আইনটিকে একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে- উল্লেখ করে আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিআইজেড বাংলাদেশ সম্পর্কিত প্রকল্পের পরিচালক উম্মে কুলসুম বলেন, প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ এর বিধান অনুসারে যদি প্রবেশনের আওতায় কারাবন্দিদের মুক্তি দেয়া হতো তাহলে ২০১৬ সালে শুধু বন্দিদের খাওয়া খরচ বাবদ দৈনিক ৫৪ টাকা হিসেবে যে ২৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে তা কারাগারের উন্নয়নে ব্যয় করা যেত। তিনি বলেন, ন্যাশনাল জাস্টিস অডিটের তথ্য মতে, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের কারাগারগুলোতে ১৯ হাজার ৬৫৩ সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দি ছিল। এর মধ্যে দুই বছরের নিচে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৫৪৬।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাজা ভোগকারী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ