Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চরিত্রহীনতাই সুব্রত বাইন, নয়ন বন্ড আর প্রিয়া সাহাদের জন্ম দেয়!

খানকায়ে মুছলিহীন মালিবাগে সুধী সমাবেশে নেছারাবাদী হুজুর

| প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে সংঘটিত কয়েকটি পৈশাচিক হত্যা এবং নারী ও শিশু বিষয়ক পাশবিক কাণ্ডে আমরা মর্মাহত। এ সামাজিক অবক্ষয়ের মূল কারণ বেপর্দেগী-বেহায়ায়ী ও বেলেল্লাপনা-যা কোনো ধর্মই অনুমোদন করে না। অথচ ১৬ কোটি ধর্মপ্রাণ মানুষের এদেশে বানের পানির মতোই ঢুকে পড়ছে চরিত্র বিধ্বংসী নানান উপকরণ। পা ফেললেই বেপর্দেগী-বেহায়ায়ী-বেলেল্লাপনা-নগ্নতার হাতছানি, মোবাইলের অপব্যবহার। তদুপরি নারী স্বাধীনতার নামে ধর্মদ্রোহী নাস্তিকদের ফাঁদে পা ফেলে আমাদের মা-বোনেরা যেদিকে ধেয়ে চলছে তাতে কতো সংসার অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হয়েছে, কতো পরিবার তার অস্তিত্ব হারিয়েছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ অধঃপতনে জড়িয়ে যাচ্ছে সমাজে বসবাসকারী ইমাম-আলেম, ঠাকুর-যোগী, উঁচু-নিচু, ধার্মিক-ধর্মহীন সবাই। এ যেন এক মহামারী রূপ ধারণ করছে। এভাবে চলতে থাকলে মুল্লুক ছেয়ে যাবে উল্লুকে, হারিয়ে যাবে জাতীয় অস্তিত্ব, যা কোনো নাগরিকের কাম্য হতে পারে না।’
গতকাল রাজধানী মালিবাগে খানকায়ে মুছলিহীনে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীরুল মুছলিহীন মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর এসব কথা বলেন।

হুজুর বলেন-‘যে জাতির শৌর্য-বীর্যে ইংরেজ এবং পাক হানাদারেরা বিতাড়িত হলো, অথচ কী আশ্চর্য! চোখের সামনে প্রকাশ্যে নৃশংস ঘটনা ঘটলেও এখন এগিয়ে আসছে না সে জাতির কোনো লোক! কারণ কোথায়? কারণ তো এই; প্রতিরোধ-প্রতিবাদ করতে গেলে দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন অনিশ্চিত, তদুপরি গডফাদারের অগ্নিদৃষ্টির ফলে ভিকটিমে পরিণত হতে হবে এগিয়ে আসা ব্যক্তিকেই। আহ্! কতটা অধঃপাতে নামলে জাতির এমন দুর্দশা হতে পারে! এহেন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ধর্ম-বর্ণ জাতি-শ্রেণি নির্বিশেষে সবাই মিলেই নিতে হবে সমন্বিত পদক্ষেপ। দায়দায়িত্ব অন্যের ঘাড়ে ফেলে রেখে রেহাই পাওয়া যাবে না। এজন্য সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি প্রয়োজন দল-মত-ছেলছেলার ঊর্ধ্বে উঠে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রভাবমুক্ত বিচারব্যবস্থা। যতো দ্রুত এগুলো বাস্তবায়ন হবে জাতি ততোই শক্তি-সাহস লাভ করবে।’

হুজুর শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, ‘একটি আদর্শ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে দুর্বার কার্যক্রম হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. গ্রহণ করেছিলেন; আসুন, আমরা তার অনুসৃত পথে ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা তো এমন সমাজব্যবস্থা চাই না যেখানে একজন নাগরিক ঘর থেকে বেরিয়ে আর ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা পায় না; আমরা তো এমন অবস্থা দেখতে চাই না-যা সমাজের রন্ধ্রে-রন্ধ্রে সুব্রত বাইন, নয়ন বন্ড আর প্রিয়া সাহাদের জন্ম দেয়। আমরা আশা করবো, দেশের সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দল ও সচেতন নাগরিকসমাজ সর্বপ্রকার স্বার্থন্ধতা পরিহার করে কেবলমাত্র জাতীয় স্বার্থে আন্তরিক হবেন এবং মুযাবযাবীন ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক্যবাদীদের পরিহার করে বেপর্দেগী-বেহায়ায়ী ও বেলেল্লাপনার বিরুদ্ধে গণ-সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসবেন। অন্যথায় আল্লাহ পাকের ভয়ঙ্কর গযব থেকে কেউই রেহাই পাবো না।’
খানকায়ে মুছলিহীন মালিবাগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব মুজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন মুছলিহীন কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর মো. ছালেহ, খানকায়ে মুছলিহীনের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী হায়দার মো. কায়সার, সাবেক কর কমিশনার মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড মুছলিহীনের নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ