মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্ল্যাকলিস্ট হয়ে মালয়েশিয়া ছাড়তে নারাজ অবৈধ বাংলাদেশিরা। মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি অভিবাসী কর্মীদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে ’ব্যাক ফর গুড’ (বিফোরজি) নামক নতুন কর্মসূচি ঘোষণার পরপরই সক্রিয়া হয়ে উঠেছে একশ্রেণির দালালচক্র। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে রসালো স্ট্যাটাস দিয়ে আকৃষ্ট করছে অবৈধ কর্মীদের। এসব চটকদার কথায় দালাল বা প্রতারকদের সঙ্গে কোনো প্রকার লেনদেন না করতে সম্প্রতি সতর্ক করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার শহীদুল ইসলাম।
দেশটিতে বৈধতা লাভের সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে অবৈধ কর্মীদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। বর্তমানে প্রায় ২ লাখ অবৈধ বাংলাদেশি দেশটিতে পালিয়ে পালিয়ে কাজ করে প্রচুর রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে দেশে। এদের মধ্যে মাইজির মাধ্যমে নাম নিবন্ধন করে অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে বৈধতা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। দশ সিন্ডিকেটের অনৈতিক কর্মকান্ড রোধকল্পে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার নতুন সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রেখেছে। ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগে দেশটির শ্রমবাজারের দ্বার উন্মোচনের প্রচেষ্টা চলছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ২/১ মাসের মধ্যেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হবে।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছে দেশটির সরকার। আগামী ১ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই সুযোগ পাওয়ার পরও যারা মালয়েশিয়ায় অবস্থান করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে অভিবাসন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। অবৈধ অভিবাসীদের দেশ ত্যাগের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ৮০টি কাউন্টার খোলা হচ্ছে। অবৈধ ব্যক্তিদের সরাসরি ইমিগ্রেশন অফিসে উপস্থিত হয়ে আবেদন করতে হবে। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানশ্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অবৈধ অভিবাসীরা ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় এই সুযোগ পাবে। অবৈধ অভিবাসীরা অরজিনাল পাসপোর্ট, যাদের পাসপোর্ট নেই দূতাবাস থেকে ট্রাভেল পাস, মালয় রিঙ্গিট ৭০০ (১৪ হাজার টাকা) এবং যেকোনো বিমানের একটি টিকিট নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ পাবে। প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে এবং যেকোনো এজেন্টের সাথে টাকা লেনদেন না করার জন্য বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধরা স্পেশাল পাস নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগ পান। আত্মসমর্পণের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার কর্মসূচি থ্রি প্লাস ওয়ান-এর মেয়াদ শেষ হয় গত বছরের আগস্ট মাসে।
কুয়ালালামপুর থেকে ভেস্ট মার্কেটিং এসডিএন বিএইচডি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুহুল আমিন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, পুরনো দক্ষ হিসেবে মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবৈধ কর্মীরা প্রতি মাসে আড়াই হাজার রিংগিট থেকে তিন হাজার রিংগিট আয় করছে। নতুন একজন কর্মী মালয়েশিয়ায় গেলে ১ হাজার রিংগিট থেকে দেড় হাজার রিংগিট বেতন পাবে। আর ব্ল্যাকলিস্ট হয়ে অবৈধ কর্মীরা দেশে ফিরলে তারা পুনরায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাবে না। মালয়েশিয়া থেকে অবৈধ প্রবাসী ফরিদপুরের কালাম, গোপালগঞ্জের ফরিদ, ময়মনসিংহের সুমন, জুয়েল, কুমিল্লার আবু বকর, সুমন এবং বগুড়ার জসিম বলেন, আমরা মাইজীর মাধ্যমে নিবন্ধন করেও প্রতারণার শিকার হয়ে বৈধতা লাভের সুযোগ পাইনি। আগামী ১ আগস্ট থেকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফিরলে ব্ল্যাকলিস্ট হয়েই ফিরতে হবে। ফলে মালয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান পুনরায় আমাদের মালয়েশিয়ায় আনতে চাইলেও পারবে না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব। তারা অবৈধ বাংলাদেশিদের দেশটিতে বৈধতা লাভের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।