Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজশাহীতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং ভৌতিক বিল বন্ধের দাবি

নেসকো অফিস ঘেরাও

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ থাকলেও রাজশাহীতে মাত্রাতিরিক্ত বিদ্যুতের লোড শেডিং ও মাস শেষে ভৌতিক বিল এবং সর্বশেষ জুন মাসের বিলে নেসকোর বির”দ্ধে সুক্ষ কারচুপির অভিযোগ তুলেছে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। বিদ্যুতের এসব সমস্যা দ্রুত নিরসনের দাবিতে গতকাল দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও নেসকো অফিস ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করেছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এসময় নেসকো কর্মকর্তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভৌতিক বিলের মাধ্যমে মানুষের পকেট কাটা বন্ধ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এসময় রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ বলেন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাজশাহীতে স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থ হলে নেসকো অফিস অবরুদ্ধ ও বিদ্যুৎ বিল প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। নেসকো লি. রাজশাহীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে স্মারকলিপিও প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাজশাহীতে নেসকো প্রতিষ্ঠা হওয়ার পরে সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে মত বিনিময়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ শুনে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো নগরবাসী সঠিকভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবেন। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় শুরু থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহে নেসকো ব্যর্থ হয়েছে। বিগত সময়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড থাকাকালীন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেয়েছেন নগরবাসী। অথচ এখন দিনে রাতে সমান তালে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি।

এতে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং অন্যদিকে মাস শেষে ভৌতিক বিলের কারণে এখন নাভিশ্বাস উঠেছে গ্রাহকদের। কারো কারো বিল চার থেকে ৫ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মিটার রিডিং না করেই আয় বৃদ্ধি দেখাতে ঘরে বসে যা ইচ্ছে বিল করে অর্থ আদায় করছে নেসকো। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রচুর বিদ্যুৎ উৎপাদন করছেন। সেই তুলনায় রাজশাহীতেও চাহিদামত বিদ্যুৎ করবরাহ আছে। তবে নেসকো কর্মকর্তাদের চরম উদাসিনতায় রাজশাহীবাসী বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অভিযোগ করলে সমাধান না দিয়ে চরম খারাপ আচরণ করা হয় গ্রাহকদের সঙ্গে। সামান্য খারপ আবহাওয়া ও বৃষ্টি পড়লে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়।

অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে নগরবাসী নিত্য চরম দূর্ভোগে পোহাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালতসহ সকল প্রতিষ্ঠানের কাজে সমস্যা হচ্ছে। এ অঞ্চলে ভারী বড় কলকারখানা নেই। অধিকাংশ মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করেই জীবিকা নির্বাহ করে। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সকল ব্যবসা বাণিজ্যে মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। লোডশেডিং এর পাশাপাশি ভৌতিক বিলসহ সুক্ষ কারচুপির মাধ্যমে গত জুন মাসে শুরু হয়েছে বাড়তি বিলের নতুন সমস্যা।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান, সহসভাপতি হার”নার রশিদ, সাংগাঠনিক সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, অ্যাডভোকেট মঞ্জুর হাসান মিঠু, মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান, প্রকৌশলী খাজা তারেক, নারী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা বেগম, ওয়েব রাজশাহীর সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি, নারী নেত্রী আকলিমা খাতুন লিমা, সমাজ সেবক গোলাম নবী রণি, জেলা লোকমোর্চার সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া, যুব নেতা জাহিদ হোসেন, আনসার আলী বাবু, হাসান আলী সরকার ও আতাউর রহমান প্রমুখ

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং ভৌতিক বিল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ