মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডের কমান্ডার, এয়ার ফোর্স জেনারেল জন ই হাইটেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করলেন তারই অধঃস্তন নারী অফিসার কর্ণেল ক্যাথরিন এ প্লেটস্টোজার। ওই নারী কর্ণেলের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের দুই তারিখে ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক রেগান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরাম শেষ হওয়ার পরে জেনারেল হাইটেন রাতে তার ঘরে এসে তাকে যৌন হয়রানি করেন।
চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প জেনারেল হাইটেনকে জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের পরবর্তী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করেন। মনোয়ন নিশ্চিত হলে, তিনি হবেন মার্কিন সেনাবাহিনীর ২য় প্রধান। দেশে এবং বিশ্বজুড়ে মোতায়েন করা যুক্তরাষ্ট্রের ১২ লাখ সক্রিয় সৈনিকের অন্যতম তদারককারি।
কর্নেল প্লেটস্টোজারের অভিযোগ তদন্তে নিযুক্ত বিমান বাহিনীর এক কর্মকর্তাও জেনারেলকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে কোর্ট মার্শালে বিচারের পরামর্শ দিয়েছেন। তবে জেনারেল হাইটেন অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন দু’টোই অস্বীকার করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিরক্ষা দফতরের এক কর্মকর্তা শুক্রবার তদন্তের বিষয়ে জানান, অভিযোগের বিষয়ে বিমান বাহিনীর তদন্তে কোনও ইমেল, মেসেজ বা অন্যান্য সহায়ক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে যে কয়বার যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে ঐ নারী অভিযোগ করেছেন, প্রতিটি সময়েই দু’জন এক সাথে ছিলেন বলে জানা গেছে।
এই কর্মকর্তা বলেছিলেন যে জেনারেল হাইটেন, যিনি কৌশলগত কমান্ডের প্রধান হিসাবে দেশের পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে তদারকি করেন, তিনি আমেরিকান সামরিক বাহিনীর অন্যতম অত্যন্ত রক্ষিত কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বিবরণ দিয়ে প্রায়শই তাকে নিয়ে যান।
ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাট সিনেটর টমি ডাকওয়ার্থ বৃহস্পতিবার জেনারেল হাইটেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়, অভিযোগগুলি খুব গুরুতর। আমরা ধাপে ধাপে ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এর তদন্ত করছি।’
তবে যৌন নিপীড়ন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে চলমান বিতর্ক আবারও উসকে দিল এই অভিযোগ।
নেব ওমাহায় অবস্থিত স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডে, কর্নেল প্লেটস্টোজর কঠোর এবং দৃঢ়চেতা বলে খ্যাতি অর্জন করেছেন। ২০১৮ এর প্রশাসনিক তদন্তে স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডে তার সহকর্মীদের বক্তব্য নেয়া হয় যেখানে তারা জানান, কর্ণেল অধস্তন ও উচ্চপদস্থ উভয়ের সাথেই ‘খারাপ’ আচরণ করতেন।
কর্নেল প্লেটস্টোজারের জানান, বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে জেনারেল হাইটেন তার অফিসে বা ভ্রমণের সময় তাকে চুম্বন করে, তাকে জড়িয়ে ধরে এবং তার শরীর স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। তিনি ভয়ে কাইকে বলতে পারেননি। তার ধারণা ছিল জেনারেল হাইটেন অবসর নেবেন। এবং এই ঘটনা সম্পর্কে তার কাউকে কিছু বলার পরিকল্পনা ছিল না। তিনি বলেন, ‘তবে হাইটেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদে মনোনীত হওয়ার পর আমি বুঝতে পারি যে আমার সামনে এগিয়ে যাওয়ার নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে। অন্য কারও সাথে যদি এটি ঘটে তবে আমি নিজের ভেতরে ঘটনাটি চেপে রাখতে এবং চুপ করে থাকতে পারি না।’ সূত্র : দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।