Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এশিয়ার প্রধান ধর্মগুলো

পিএসডব্লিউ | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পরস্পর নিকট প্রতিবেশী। প্রতিটি দেশেই রয়েছে বিপুল সংখ্যক ধর্মানুসারী। বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান। ভারত হিন্দু প্রধান। আর মিয়ানমার বৌদ্ধ প্রধান দেশ।
এসব দেশে আয়তনের চেয়ে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো দেশের জনসংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বা কম। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইন্দোনেশিয়ায় খ্রিস্টানদের সংখ্যা অনেক বেশি। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও বেশি। ভারতের বাইরে নেপাল ছাড়া সর্বত্র হিন্দুরা সংখ্যালঘু।

উত্তর কোরিয়ার তিন-চতুর্থাংশ লোক নাস্তিক/অজ্ঞেয়বাদী। তবে দুই ভাবে বিতর্কিত। বিশে^র সর্বশেষ স্তালিনবাদী রাষ্ট্রের ধর্মীয় ব্যবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায় না। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষণকৃত মতাদর্শ হচ্ছে ‘জুচে।’ এতে কিছু অতিপ্রাকৃত বিষয় প্রাধান্য দেয়া হয়। যেমন ১৯৯৪ সালে মারা গেলেও কিম ইল-সুংকে ১৯৯৮ সালে ‘চিরকালীন প্রেসিডেন্ট’ ঘোষণা করা হয়।

অবশ্যই সবকিছুতে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। মানচিত্রে বিভিন্ন ধরনের খ্রিস্টান ও ইসলামী চিন্তাধারার থাকলেও কেউ কাউকে প্রকৃত ধর্মবিশ্বাসী মনে করে না। এর মধ্যে রয়েছে ইহুদি ধর্ম (বিশে^ যাদের সংখ্যা মাত্র দেড় কোটি)। আছে শিখ ধর্ম যাদের অনুসারীর সংখ্যা দুই কোটি ৭০ লাখ। আরো অন্যান্য ধর্মও আছে। এসব নাস্তিকতাবাদী ধর্মের (কোনো ঈশ^র নেই) সাথে অজ্ঞেয়বাদীদের (ঈশ^র থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে। আমরা তা জানি না) কোনো বিরোধ নেই।

যারা ব্যক্তিগত ভাবে বিশ্বাস না করলেও সামাজিক কারণে ধর্ম পালন করেন এবং যারা কিছ একটাতে বিশ্বাস করেন (কিন্তু কোনো বিশেষ ধর্ম পালন করেন না। তাদের মধ্যে সূ² তারতম্যের একটা গোটা মাইন ফিল্ড রয়েছে। তাদের সে বিষয়টি প্রদর্শন করতে সম্ভবত এ রকম বিশাল মানচিত্র লাগবে। (শেষ)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ