Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত-চীন সীমান্ত চুক্তির সম্ভাবনা

শি-মোদি সুসম্পর্ক প্রসঙ্গে সেনা কর্মকর্তা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১১:৫৯ পিএম

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনের আগে ভারতের সেনাবাহিনী ইঙ্গিত দিয়েছে যে, দুই দেশের দুর্বলভাবে চিহ্নিত সীমান্ত রয়েছে, যেটার দৈর্ঘ প্রায় ৪,০৫৭ কিলোমিটার এবং সীমান্ত ইস্যুগুলো সমাধানের জন্য একটা চুক্তির ব্যাপারে সবকিছু সঠিক পথেই এগুচ্ছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভাইস চিফ লে. জেনারেল এম এম নারাভানে শুক্রবার বলেন যে, প্রতিটি আলোচনায় সীমান্ত বিরোধ মীমাংসার প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়েছে এবং প্রতিটি আলোচনার পর মতপার্থক্যের জায়গাগুলো কমে আসছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিতীয় অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের অক্টোবরে।
নারাভানে মিডিয়ার সাথে আলাপকালে বলেন, ‘সীমান্ত ইস্যুতে প্রত্যেক দফা আলোচনার পর, মতপার্থক্যগুলো কমে আসছে। আশা করি, একটা পর্যায়ে সব মতপার্থক্যগুলোর মীমাংসা হবে, এবং আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে একটা চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারবো’। শুক্রবার কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

নারাভানে জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা ২৩ বা ২৪তম সীমান্ত আলোচনার মধ্যে এখন আছি। এটার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করাটা কঠিন। সীমান্ত ইস্যুটা যত দ্রæত সমাধান হয়, তত দ্রæত এশিয়া দুই বড় দেশের মধ্যে বাধাগুলো দূর হবে এবং তারা সমৃদ্ধির দিকে যেতে পারবে’।

চীনা সামরিক বাহিনী স¤প্রতি বলেছে: “ভারতের সাথে সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চেষ্টা করছে তারা, এবং এ জন্য তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ডোংলাং (দোকলাম) অচলাবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য একটা ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়”।
দুই দেশের নেতার মধ্যে অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন শুরুর আগে এই বিবৃতির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। চলতি বছর অক্টোবরে যে কোন সময় এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

২০১৮ সালের এপ্রিলে উহানে মোদি ও শি-এর মধ্যে প্রথম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন হয়। তারা স্পেশাল রিপ্রেজেন্টেটিভস অন দ্য ইন্ডিয়া চায়না বাউন্ডারি কোয়েশ্চেনের প্রতি নির্দেশ দেন যাতে তারা ন্যায্যতার সাথে, যুক্তিগ্রাহ্য উপায়ে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে সমস্যা সমাধানের একটা উপায় বের করে”।

স্পুটনিক এর আগে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল যে, দুই দেশ প্রথমে সীমান্তের মাঝামাঝি অংশের বিবাদ মিটিয়ে ফেলতে পারে, যেখানে পশ্চিম ও পূর্ব সেক্টরের তুলনায় বিবাদ কম।

দুই এশিয়ান নেতা তাদের নিজস্ব সামরিক বাহিনীর প্রতি কৌশলগত নির্দেশনাও দেন যাতে তারা পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ায় এবং আস্থা ও পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বাড়ায় এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে কার্যকর সিস্টেম গড়ে তোলে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ