Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০০ ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা

ভারত-নেপালে বন্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারত ও নেপালে মৌসুমি বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুই দেশে বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০৬ জন। এর মধ্যে ভারতের আসাম ও বিহার অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন অন্তত ১৯৮ জন ও নেপালে মারা গেছেন অন্তত ১০৮ জন। কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডে।

খবরে বলা হয়, গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় বিহারের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরো ১৭ জন। সবমিলিয়ে বিহারে বন্যায় মৃতে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩ জনে। অন্যদিকে, আসামে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৪। এর মধ্যে গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন সাত জন।
স্থানীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিহারের এক জেলাতেই মারা গেছেন ১০ জন। অপর এক জেলায় মারা গেছেন আরো পাঁচ জন। সব মিলিয়ে বুধবার থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ৭০ জনের বেশি। এছাড়া, বিহারের ১২ জেলার ১০৫ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৮২ লাখ মানুষ।। অন্যদিকে, আসামে ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা ৩৮ লাখ ছাড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপাল ও তরাই অঞ্চলে অবিরাম বর্ষণের কারণেই বিহারের বন্যাপরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। কোশি, মহানদী, কমলা বালান, বাগমতীতে এখন বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে পানি। বীরপুর ব্যারেজের পানিও ক্রমে বাড়ছে। মুজফফরপুর, দ্বারভাঙা ও পূর্ণিয়াতে আঘাত হেনেছে বন্যার পানি। বিহারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিষয়ক মন্ত্রী ল²ীশ্বর রাই জানান, ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ অব্যাহত রয়েছে। বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হচ্ছে।

এদিকে, নেপালে ১০৮ জন নিহতের পাশাপাশি নিখোঁজ রয়েছেন আরো ৩৩ জন। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানায়, ১১ জুলাই থেকে টানা বর্ষণে তীব্র বন্যার শিকার হয়েছে নেপাল। দেশটির অর্ধেকের বেশি জেলা এখন বন্যাক্রান্ত।

উল্লেখ্য, ভারত ও নেপালে সাধারণত জুন মাস থেকে বর্ষাকালীন বৃষ্টির শুরু হয় ও তা চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়টুকু উভয়দেশের জন্য বেশ সঙ্কটপূর্ণ। প্রায় প্রতি বছরই এই মৌসুমে অঞ্চলটিতে মারা যায় অসংখ্য মানুষ ও ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিপুল পরিমাণ জমি। গত বছর আসাম ও কেরালায় বন্যা, ভ‚মিধস ও বৃষ্টি সংক্রান্ত কারণে প্রাণ হারান ১ হাজার ২০০’র বেশি মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ