Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লাভ মাদারের কারাদন্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

১১৮ শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি চীনা নাগরিক লি ইয়ানজিয়া। শিশুদের প্রতি এই যত্ম ও ভালোবাসার কারণে তাকে অনেকে ডাকতেন ‘লাভ মাদার’। ৫৪ বছর বয়সী চীনা এই ‘লাভ মাদার’কে এবার ২০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন চীনের একটি আদালত। খবর বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজি, জালিয়াতি ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বুধবার তাকে কারাদন্ড দিয়েছেন হিবেই প্রবেশের উয়ান আদালত। কারাবাসের পাশাপাশি ২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ইউয়ান জরিমানাও গুনতে হবে তাকে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে প্রথমবার আলোচনায় আসেন লি। নিজ শহর উয়ানের বেশ কয়েকটি শিশুকে দত্তক নিয়ে মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দেন তিনি। এত শিশু দত্তক নেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেছিলেন, বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। তাদের ছেলেকে এক মানব পাচারকারীর কাছে মাত্র ৭ হাজার ইউয়ানের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তার সাবেক স্বামী। ছেলেকে পরে ফিরে পেয়েছিলেন লি। কিন্তু তখন থেকেই তিনি অনুভব করেন, অন্য শিশুদেরও তার একইভাবে সাহায্য করা উচিত।

এরপর ধীরে ধীরে হিবেই প্রদেশের অন্যতম ধনী নারীতে পরিণত হন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি একটি লোহা খনন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। একপর্যায়ে সেটির মালিকও হন তিনি। লি-র প্রথম শিশু দত্তক নেওয়ার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এই কোম্পানি। এরপর একে একে আরও অনেক বাচ্চাকে দত্তক নিয়ে একটি অনাথ আশ্রম খোলেন লি। আশ্রমটির নাম দেন ‘লাভ ভিলেজ’। ২০১৭ সালে ওই অনাথ আশ্রমে দত্তক নেওয়া শিশুর সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৮-তে। কিন্তু ওই বছরই প্রথমবারের মতো লি-র কার্যক্রমে সন্দেহ হয় পুলিশের। ২০১৮ সালের মে মাসে পুলিশ জানতে পারে, লি-র ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২ কোটি ইউয়ানের বেশি অর্থ জমা আছে। এ ছাড়া ল্যান্ড রোভারস ও মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো বিলাসবহুল গাড়ির মালিক তিনি।

এরপর পুলিশের বিস্তারিত তদন্তে বেরিয়ে আসে, ২০১১ সাল থেকে সহযোগীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন লি। দত্তক নেওয়া শিশুদের ব্যবহার করে নির্মাণ খাতের কোম্পানিগুলোকে হুমকি দিয়ে অর্থ আদায়ও করতেন তিনি। এ ছাড়া অনাথ আশ্রম তৈরির নাম করে লি-র বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। লি-র এমন কর্মকান্ড প্রকাশ্যে আসার পর নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক চীনা ব্যক্তি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ