Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

না হলে চাঁদে যান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ধর্মের নামে সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলায় তোপের মুখে পড়েছেন ভারতের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক আদুর গোপালকৃষ্ণন। কেরালা বিজেপির এক নেতা বলেছেন, আদুর গোপালকৃষ্ণন যদি ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান সহ্য করতে না পারেন, তা হলে তিনি চাঁদ বা অন্য কোনো গ্রহে চলে যেতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার আদুর গোপালকৃষ্ণনকে লক্ষ্য করে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেরালা বিজেপির নেতা বি গোপালকৃষ্ণন।
ফেসবুক পোস্টে কেরালা বিজেপির নেতা বি গোপালকৃষ্ণন বলেন, আদুর গোপালকৃষ্ণন একজন শ্রদ্ধাভাজন চলচ্চিত্র নির্মাতা। কিন্তু তিনি দেশের সংস্কৃতিকে অসম্মান করতে পারেন না। আদুর গোপালকৃষ্ণন বলেছেন, তাদের চিঠিতে যে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে, তা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, কিংবা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের বিরুদ্ধেও নয়; তাদের উদ্বেগ এই স্লোগান ব্যবহার করে যেসব গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, তার বিরুদ্ধে।

এর আগে মঙ্গলবার দেশটির ৪৯ বিশিষ্ট নাগরিক ভারতে মুসলমান, দলিতসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার মতো ঘটনা বন্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে খোলা চিঠি লিখেছেন। বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে আদুর গোপালকৃষ্ণনও আছেন।
চিঠিতে নরেন্দ্র মোদির জয় শ্রীরাম স্লোগানেরও সমালোচনা করে বলা হয়, দুঃখজনক হলেও সত্য, ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান এখন রণহুঙ্কার দিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে আদুর গোপালকৃষ্ণনকে নিয়ে কেরালা বিজেপি নেতার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
এদিকে গণপিটুনি ও অসহিষ্ণুতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৪৯ জন বিশিষ্টজনের লেখা খোলা চিঠির পালটা চিঠিতে এবার তোপ দেগেছেন ভিন্ন মতের ৬১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। আগের চিঠিতে বাছাই করা কিছু ঘটনাকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে জবাবী চিঠিতে।
নয়া এ চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত, গীতিকার প্রসূন যোশি, নৃত্যশিল্পী তথা সাংসদ সোনাল মানসিং, বাদ্যশিল্পী পন্ডিত বিশ্বমোহন ভাট, চিত্রনির্মাতা মধুর ভান্ডারকর, বিবেক অগ্নিহোত্রি-সহ ৬১ জনের। এই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভালো প্রশাসন চালানোর প্রচেষ্টাতে আঘাত হানতেই মিথ্যেভাবে নির্দিষ্ট কিছু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। খোলা চিঠিতে সইকারীরা উপজাতি এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের উপর মাওবাদীদের হামলার সময় চুপ থেকেছেন। কাশ্মীরে যখন বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্কুল জ্বালিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তখন তারা নীরব থেকেছেন। দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালগুলির ক্যাম্পাসে যখন সন্ত্রাসবাদীরা স্লোগান দিয়েছে তখনও কিছু বলেননি এই মানুষগুলি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।
#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ