মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিকি মিনাজ বললেন, আর সউদী আরব তা মেনে নিল, বিষয়টা এত সহজ নয়। কিন্তু এবার সত্যিই সউদী কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, শিগগিরই দেশটির ‘পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন’ বাতিল করা হচ্ছে। ফলে এরপর থেকে দেশটির নারীরা চাইলেই কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই দেশত্যাগ করতে পারবে। এছাড়া, বাইরে চলাচল ও চাকরি-বাকরির ক্ষেত্রেও আর পুরুষের অনুমতির প্রয়োজন পড়বে না। নিকি মিনাজ যেদিন নারী অধিকারের সমর্থনে সউদী আরবের কনসার্ট বাতিল করলেন ওইদিনই সউদী কর্মকর্তাদের এমন পরিকল্পনার কথা প্রকাশিত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী এ বছরের মধ্যেই এই আইন বাতিল করা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে দেশটির নারী ও পুরুষ চলাচল, দেশত্যাগ ও কর্মক্ষেত্রে সমান স্বাধীনতা পাবে। তবে এ স্বাধীনতা পেতে নারী-পুরুষ উভয়কেই ১৮ বছর বা তার থেকে বেশি বয়সী হতে হবে। দ্য ইকোনোমিস্ট লিখেছে, এমন একটি আইন দেশটিতে বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের উদারিকরণ প্রক্রিয়াও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। তবে এটিও সত্যি যে, গত ৫ বছর আগে এই পরিবর্তনের কথা চিন্তাও করা যেত না।
গত বছরের জুনে সউদী আরব নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে দেয়। ২০১৭ সালে বাদশাহ সালমান ঘোষণা দেন, সউদী নারীরা এখন থেকে পুরুষের অনুমতি ছাড়াই সরকারি চাকরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে পারবেন। লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে আনতে এই আইন বেশ কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। ক্রাউন প্রিন্স সালমান তখন প্রকাশ্যে সউদী নারীদের আবায়া পরার বিষয়েও আইন শিথিলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তবে এতকিছুর পরেও নারীদের মুক্তি কঠিন ছিল সউদী আরবে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে পুরুষ অভিভাবকত্ব আইন। এই আইনের ফলে সুযোগ থাকা সত্বেও নারীরা ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারত না। সউদী নারীদের ১৬ শতাংশ জানিয়েছে, কোনো না কোনো পুরুষ আত্মীয়ের বাধার কারণেই তারা গাড়ি চালাতে পারছে না।
নারীদের পুরুষের অধিনস্ততা থেকে মুক্তি দিলে এটি সউদী আরবে আরো বড় বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। দেশটির শহরগুলো কিছুটা উদার হলেও এর বাইরের অঞ্চলগুলো কট্টর রক্ষণশীলতার চাদরে ঢাকা। ফলে এই আইন বাতিল করলে সেসব অঞ্চলের নারীরা মুক্তির আশায় দেশত্যাগ করতে শুরু করবে। ফলে কয়েকদিন আগের আলোচিত তরুণী রাহাফ মোহাম্মদের মতো আরো অনেকেই দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করবে। রাহাফকে তার পরিবার ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালালেও সে ওই যাত্রায় বেঁচে যায়। তাকে পরবর্তীতে কানাডা সরকার আশ্রয় দেয় যা অন্য সউদী নারীদেরকেও দেশ ত্যাগে উৎসাহিত করবে বলে মনে করে দ্য ইকোনোমিস্ট।
সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এখনো দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সফল হননি। দেশটির বেকারত্বের হার এখন যেকোনো সময়ের থেকে বেশি। এছাড়া, বেসরকারি খাতেও বিনিয়োগ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তিনি সউদী আরবের ব্যাপক সাংস্কৃতিক পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু তাও কিছু ক্ষেত্রে অসম। ক্রাউন প্রিন্সের আচরণেও রয়েছে কিছুটা বৈপরীত্য। তিনি কিছু সমাজ সংস্কারককে জেলও দিয়েছেন। আবার নিজেও পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি সউদী আরবে আমদানি করছেন। তিনি মনে করেন, সউদী আরবে যদি আন্তর্জাতিক তারকারা কনসার্ট করতে আসেন তাহলে সউদী জনগণ বিনোদনের জন্য বিদেশে যাবে না। তাই অর্থনৈতিক দিককে সামনে রেখে তিনি সউদীতে সিনেমা হল নির্মাণ করছেন, নিয়মিত বিদেশি তারকাদের এনে কনসার্ট আয়োজন করছেন এবং একইসঙ্গে নারীদের অধিকতর স্বাধীনতা নিশ্চিতে সচেষ্ট হচ্ছেন। সউদী তরুণরাও এই তার এই সংস্কার উপভোগ করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।