নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লর্ডসে একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৩ রানের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের শুরুর দিন থেকেই আইরিশ বিস্ময় দেখা গেলেও শেষ দিনে দেখা গেল ইংল্যান্ডের শক্তিমত্তা। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ৮৫ রানে বেঁধে রেখে ১৮২ রানের লক্ষ্য পেয়েছিলো আইরিশরা। কিন্তু ক্রিস ওকস ও স্টুয়ার্ট ব্রডের বোলিং তোপে মাত্র ৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় আইরিশ ইনিংস।
১৮২ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ম্যাককরুম ছাড়া আর কেউ দুই সংখ্যায় রান করতে না পারায় ৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারি দল। আয়ারল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শূণ্য রানেই ফিরে যান ৩ জন। এছাড়া ২, ৪, ৫, ৮ রানের ইনিংস ছিল শুক্রবারের আইরিশ ইনিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ব্রড-ওকস তোপে মাত্র ১৫.৪ ওভারেই সব কয়টি উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ব্রড ৮ ওভার বল করে ১৯ রানে নেন ৪ উইকেট। ওকস ৭.৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে নেন ৬ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লিচ-রয়ের জুটির সুবাদে ৩০৩ রান তোলে ইংল্যান্ড। রয় ৭২ ও লিচ ৯২ রান তোলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯২ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন লিচ।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে শুরু হবে অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আগে বোলারদের পারফরম্যান্স স্বস্তি দেবে স্বাগতিকদের। তবে দুর্ভাবনা থাকছে ব্যাটিং নিয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস : ৮৫।
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস : ২০৭।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস : ৩০৩।
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস : (লক্ষ্য ১৮২) ১৫.৪ ওভারে ৩৮ (পোর্টারফিল্ড ২, ম্যাককলাম ১১, বালবার্নি ৫, স্টার্লিং ০, ও’ব্রায়েন ৪, উইলসন ০, থম্পসন ৪, অ্যাডায়ার ৮, ম্যাকব্রায়ান ০, মরতাগ ২, র্যানকিন ০*; ব্রড ৮-৩-১৯-৪, ওকস ৭.৪-২-১৭-৬)।
ফল : ইংল্যান্ড ১৪৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : জ্যাক লিচ।
তবে ‘চারদিনের’ এই ম্যাচ ফিরিয়ে আনল ৬৪ বছরের স্মৃতি। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বনিম্ন স্কোর কত? উত্তরটাও মোটামুটি অনেকের জানা। ২৬ রান। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এভাবেই খসে পড়েছিল কিউই পাখির সব পালক। এদিন আয়ারল্যান্ডের ৩৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় সেই স্মৃতিই ফিরে এলো। সেদিনের নিউজিল্যান্ডের পর এই প্রথম এত কম রানে টেস্টে অলআউট হলো কেউ। লর্ডস টেস্টটা জিততে আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল মাত্র ১৮২ রান। ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল সামনে। ইতিহাস আয়ারল্যান্ড গড়লও। কিন্তু গৌরবের নয়; লজ্জার।
টেস্টের সর্বনিম্ন স্কোর
দল স্কোর প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
নিউজিল্যান্ড ২৬ ইংল্যান্ড অকল্যান্ড ১৯৫৫
দ.আফ্রিকা ৩০ ইংল্যান্ড পোর্ট এলিজাবেথ ১৮৯৬
দ.আফ্রিকা ৩০ ইংল্যান্ড এজবাস্টন ১৯২৪
দ.আফ্রিকা ৩৫ ইংল্যান্ড কেপ টাউন ১৮৯৯
অস্ট্রেলিয়া ৩৬ ইংল্যান্ড এজবাস্টন ১৯০২
দ.আফ্রিকা ৩৬ অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ১৯৩২
আয়ারল্যান্ড ৩৮ ইংল্যান্ড লর্ডস ২০১৯
টেস্ট ক্রিকেটে এর চেয়েও সাতটি কম স্কোরে অলআউট হওয়ার লজ্জা আছে। কিন্তু সবগুলোই ১৯৫৫ কিংবা এর আগের ঘটনা। শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের চতুর্থ ইনিংসের দৈর্ঘ্য ছিল ১৫.৪ ওভার। বলের হিসাবে দ্বিতীয় স্বল্পস্থায়ী টেস্ট ইনিংসের রেকর্ড এটি। ১৯২৪ সালে ৭৩ বলের মধ্যে অলআউট হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আসলে প্রতিপক্ষ এ ধরনের লজ্জার মুখোমুখি দাঁড় করাতে ইংল্যান্ড বরাবরই সিদ্ধহস্ত। টেস্ট ক্রিকেটে রানের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন সাত ইনিংসের ছয়টিই ইংলিশদের বিপক্ষে। তবে বলের স্বল্পস্থায়ী ইনিংসের রেকর্ডে আবার ইংল্যান্ডেরও নাম উঠে গেছে। ১৯০২ সালে আয়ারল্যান্ডের মতো তারাও মাত্র ১৫.৪ ওভারে অলআউট হয়ে গিয়েছিল, মেলবোর্ন টেস্টে। ৯৪ বল স্থায়ী আরেকটি ইনিংস আছে টেস্টে। সেটিরও শিকার দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্টের স্বল্পস্থায়ী ইনিংস
দল স্কোর বল প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
দ.আফ্রিকা ৩০ ৭৩ ইংল্যান্ড এজবাস্টন ১৯২৪
দ.আফ্রিকা ৩০ ৯৪ ইংল্যান্ড পোর্ট এলিজাবেথ ১৮৯৬
ইংল্যান্ড ৬১ ৯৪ অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ১৯০২
আয়ারল্যান্ড ৩৮ ৯৪ ইংল্যান্ড লর্ডস ২০১৯
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।