নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বয়স মাত্র ২৭। সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তোলার মোক্ষম সময়। ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত ফরমেট টেস্ট। অথচ এই তিন বিষয়ের বিয়োগান্তক খর নিয়ে হাজির মোহাম্মদ আমির। এই বয়সেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা পেসার! আজ দুপুরে হঠাৎই টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাঁহাতি এই গতি তারকা। সাদা পোষাক ছাড়লেও পাকিস্তানের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলা ঠিকই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
৩৬ টেস্টে ৩০.৪৭ গড়ে ১১৯ উইকেট নেওয়া আমির এক বিবৃতিতে জানান, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ বাড়াতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপসহ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করতে আরও ভালো অবস্থায় থাকতে চান আমির, ‘ক্রিকেটের সেরা ও ঐহিত্যবাহী ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করাটা আমার জন্য সম্মানের ছিল। এই পথচলায় আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। তবে এখানেই থামতে হচ্ছে। আমি লংগার ভার্সন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে করে আমি সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে পারি। বিশেষকরে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।’
সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হচ্ছে। এই সময়টার জন্য পাকিস্তান দলে প্রতিভাবান কিছু পেসার এসে গেছেন বলেই মনে করছেন আমির, ‘এটা (অবসর) খুব সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমাকে বেশ ভাবতে হয়েছে। তবে সামনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, পাকিস্তান দারুণ কিছু তরুণ ফাস্ট বোলার পেয়েছে। এখনই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলার সঠিক সময় আমার, যাতে করে নির্বাচকরা ভালোমতো পরিকল্পনা সাজাতে পারেন।’
টেস্টের বিদায়ী সময়ে সতীর্থ এবং প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আমির। আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি)। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন নিজের কোচকে, যিনি ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সময় সাহায্য করেছেন।
২০০৯ সালের জুলাইয়ে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তার। প্রথম ম্যাচে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। এরপর টানা টেস্ট খেলেছেন ২০১০ সালের আগস্ট পর্যন্ত। স্বপ্নময় ক্যারিয়ারে হঠাৎই নেমে আসে অন্ধকার। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে খেলার সময় স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। কিছু দিন কাটাতে হয়েছিল সংশোধনাগারে।
সেই বিভীষিকাময় দিনগুলো কাটিয়ে আবারও আলোর দেখা পান ২০১৬ সালে। ওই বছরের জুলাই মাসে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টেস্ট ক্রিকেটে ফেরেন আমির। এরপর খেলেছেন আরও ২২টি টেস্ট। পারফরম্যান্সও খারাপ ছিল না। গেল দেড় বছরে টেস্টে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের শুরু থেকে ৬ ম্যাচ খেলে মাত্র ২১ গড়ে ২৪ উইকেট শিকার করেন আমির। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ৩ টেস্টে পেয়েছিলেন ১২ উইকেট। কে জানতো, জোহানেসবার্গে সেই টেস্টই হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ?
টেস্টে আমির
বোলিং
ম্যাচ/ইনি. উইকেট ইনি.সেরা গড় ইকো. ৫/১০
৩৬/৬৭ ১১৯ ৬/৪৪ ৩০.৪৭ ২.৮৫ ৪/০
ব্যাটিং
ম্যাচ/ইনি. রান সর্বোচ্চ গড় স্ট্রাইক ১০০/৫০
৩৬/৬৭ ৭৫১ ৪৮ ১৩.৪১ ৩৭.৯২ ০/০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।