পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে জেলা শহরগুলোতেও ডেঙ্গু আতঙ্ক মহামারি আকার ধারণ করেছে। কেউ শরীরে সামান্য একটু জ্বর বোধ করলেই চেক আপের জন্য ছুটে যাচ্ছেন হাসপাতালে। হতে পারে এটি সাধারণ জ্বর বা অন্য কিছু। কিন্তু বর্তমানে কেউ এটাকে সাধারণভাবে নিচ্ছেন না। কারণ এবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন কেউ কেউ। তাই একটু জ্বর ওঠা মাত্রই হাসপাতালের দিকে ছুটছেন রোগীরা।
এদিকে হাসপাতালের বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসাপাতালে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এখানকার চিকিৎসকদের অভিযোগ, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। কিন্তু সে পরিমাণে ডাক্তার বা নার্স নেই। এজন্য তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগী বেশি হওয়ায় তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা, চিকিৎসকের চেম্বার এবং লিফটের সামনে থেকে শুরু করে বাথরুমের দরজা পর্যন্ত সর্বত্র রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শত কষ্ট মুখ বুঝে সহ্য করে চিকিৎসা নিচ্ছেন ডেঙ্গু রোগীরা। মিটফোর্ড হাসাপাতালের চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী আসলাম বলেন, দুইদিন আগে মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ১-৩-৫-৭ ইউনিটে ভর্তি হয়েছি। ভর্তি হওয়ার সময় কোনো বেড পাইনি। এজন্য ফ্লোরে বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। যেভাবে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা বাড়ছে তাতে কারও কিছুই করার নেই। সব হাসপাতালে একই অবস্থা। হাসপাতালে বেডের চেয়ে রোগী বেশি।
একই বিভাগের সিনিয়র নার্স সাথী হালদার বলেন, এই ইউনিটে ডেঙ্গু আক্রান্তসহ ১৭২ জন রোগী রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে ৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আগের রোগীসহ নতুন রোগী যোগ হওয়ায় আমরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।