Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জয় শ্রীরাম ধ্বনি ভারতে আর্তনাদ তৈরি করছে ট্যুইটারে নুসরাত জাহান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 

প্রথমবারের সাংসদ। তবে কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় বারবারই সরব হতে দেখা গেছে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানকে। গত বুধবার ফের ট্যুইট করে কেন্দ্রে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন নুসরাত। এদিন তিনি কবি ইকবালের কবিতা উদ্ধৃত করে বলেন, কোনো ধর্ম একে অপরের মধ্যে হিংসা ছড়ানো শেখায় না। এগুলো মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত। ভারতের অখÐতাকে ভাগ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নুসরত বলেন, যে ৪৯ জন বুদ্ধিজীবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়ে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তারাই দেশের প্রকৃত ভালো চান। তাঁদের সমর্থন করেন বলেও এদিন জানান তৃণমূল সাংসদ।

তার মতে, জয় শ্রীরাম ধ্বনির ধুয়ো তুলে দেশে আর্তনাদ ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এই ধ্বনি মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এদিন গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, তথাকথিত গো-রক্ষকরা খাবারের নামে, ধর্মের নামে বিভেদ তৈরি করে চলেছে। অথচ আশ্চর্যভাবে দেশের কেন্দ্র সরকার চুপ। সব দেখেও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেই। নুসরতের দাবি, এই গো-রক্ষকরা গরু পাচার, গো-মাংস খাওয়ার নামে তাÐব চালানো হচ্ছে গোটা দেশে। এসব গো-রক্ষক আসলে জঙ্গি। এরা দেশের মধ্যে থেকে অশান্তি তৈরি করে চলেছে। এরা সবাই দেশের শত্রæ। একযোগে এদের মোকাবিলা করতে হবে।

উল্লেখ্য, বুধবারই গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্বরা উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। মোট ৪৯ ব্যক্তিত্বর সই করা এই চিঠি বুধবার গিয়ে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এদিন বিদ্বজনেদের চিঠিতে জয় শ্রীরাম ধ্বনির প্রভাব থেকে গণপিটুনি, এমনই বহু বিষয়ের উল্লেখ করা হয়। দলিত থেকে মুসলিমদের গণপিটুনি, অসহিষ্ণুতার মতো বিষয় ছিলই। সেই সঙ্গে জোর দেয়া হয় জয় শ্রীরাম সেøাগানের প্রভাবে আইন শৃঙ্খলাতেও যে একটা প্রভাব পড়ছে, পরিস্থিতি অশান্ত হচ্ছে এই বিষয়টির ওপরেও।

তবে বিষয়টি স্বীকার করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রের মোদি সরকার দেশের নাগরিকদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছে বলে জানানো হয়। রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি ২০১৪ সালে মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসার পর কোনো সা¤প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন। তিনি এও জানান, দেশে ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো কারফু জারি হয়নি। ২০১৩ সালে যেখানে ৮২৩টি হিংসার ঘটনা ঘটেছিল. ২০১৮ সালে তা নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ৭০৮-এ। সূত্র : কোলকাতা২৪।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ