Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অর্থ আদায়ে এনওসি স্থগিত গ্রামীণফোনের প্রতিবাদ

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসির অডিটকে ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে ওই অডিটে মাধ্যমে দাবি করা অর্থ আদায়ে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) স্থগিতের প্রতিবাদ জানিয়েছে গ্রামীণফোন। অপারেটরটির পক্ষ থেকে সালিশী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এক প্রকার জোর জবরদস্তিমূলকভাবে বিটিআরসি অর্থ আদায়ের কৌশল নিয়েছে বলেও মন্তব্য করে গ্রামীণফোন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনুমোদন ও অনাপত্তিপত্র স্থগিত করার ফলে নেটওয়ার্কের মানরক্ষা ও গ্রাহক স্বার্থবিরোধী, বিটিআরসির এই চরম সিদ্ধান্তটি কোনভাবেই গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনা করে নেয়া হয়নি। বরং এ সিদ্ধান্তে গ্রাহকদের স্বাধীনভাবে সেবা গ্রহণের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্নভাবে মানসম্পন্ন ফোন-কল, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ডিজিটাল মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের অধিকারকে খর্ব করছে।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ব্যবসায়িক কোন্দল নিরসনের উপায় হিসেবে কখনই গ্রাহকদের স্বার্থ, জাতীয় অর্থনীতি কিংবা দেশের ভাবমূর্তিকে জিম্মি করা উচিত নয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্যান্য পক্ষের উপর যে প্রভাব পরেছে তা সত্যিই দুঃখজনক। তিনি বলেন, নীতিগতভাবে, পদ্ধতিগতভাবে এবং বস্তনিষ্ঠতার আলোকে এই অডিটের প্রতিবাদ করার আমাদের আইনত অধিকার রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার এধরনের বলপূর্বক টাকা আদায়ের কৌশল নজিরবিহীন এবং এইরূপ আচরণ এই বিরোধপূর্ণ অডিটের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তিনি আরো জানান যে সেবাকার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অনুমোদন স্থগিতকরণের ফলে বিনিয়োগ বন্ধ হচ্ছে। এইরূপ সিদ্ধান্তে ইতোমধ্যে গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী নেটওয়ার্ককের বিস্তার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হবে।

গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত বলেন, ২০০২ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যে স্পেকট্রাম ব্যবহারের মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে তা বিটিআরসি এর ডিমান্ড নোটের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। তবে অডিটের ফলাফলে এটি উল্লেখ করা হয় যে এই ডিমান্ড নোটের নিরূপন পদ্ধতিতে বিটিআরসি নিজেই ভুল করেছে। এক্ষেত্রে এই ভুলের জন্য বিটিআরসি কে দায়ী করার বদলে বিটিআরসির নিয়োগকৃত অডিট প্রতিষ্ঠান দাবী করে যে গ্রামীণফোন শুধুমাত্র এই ভুলের মাশুলই দিবে না, এর উপর চক্রবৃদ্ধি হারে সুদও প্রদান করবে।

মাইকেল ফোলি বলেন, আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এই কারণে যে এই অডিটে গ্রামীণফোনের উত্থাপিত সকল যুক্তিই উপেক্ষিত হয়েছে এবং বিষয়গুলো অমীমাংসীত রয়েছে। এটি কোনভাবেই একটি নিরপেক্ষ অডিটরের নৈতিকতার মধ্যে পড়ে না, বরং এইরূপ আচরণ পুরো অডিট প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এইরূপ অযৌক্তিক কার্যকলাপ আমাদের আইনানুগ অধিকার রক্ষার্থে গঠনমূলক সালিশী প্রক্রিয়া অবলম্বনের দাবীকেই সমর্থন করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রামীণফোনের প্রতিবাদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ