Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিটেবাড়িসহ আবাদি জমি বিলীন

হিজলায় মেঘনার ভাঙন

মো. আব্দুল আলীম, হিজলা (বরিশাল) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:০২ এএম

উজান থেকে ধেঁয়ে আসা ঢলের তীব্র স্রোতে সম্প্রতিকালে মেঘনা নদীর বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকার দুই শতাধীক বসত ভিটেসহ তিনশতাধীক একর ভুমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদী ভাঙনকৃত এলাকাগুলি হলো- টুমচর, পুরাতন হিজলা বাজার এলাকা, মহিষখোলা, পূর্বকান্দি, বদরপুর, আবুপুর, গঙ্গাপুর, বাউশিয়া, আলীগঞ্জ, পালপাড়া, ধূলখোলা, গুচ্ছগ্রাম ও চরমেমানিয়াসহ আশপাশের এলাকা। টুমচর, বদরটুনী বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন কবল থেকে কয়েকদিনে দুই শতাধিক বসত ঘর সরিয়ে নিতে হয় এলাকাবাসীর। গতকাল রাতে হঠাৎ নদী ভাঙন সৃষ্টি হলে টুমচর শেখ ও বেপারী বাড়িতে কয়েকটি বসতি ঘরের মধ্যে দীর্ঘ ফাটল দেখা যায়। বাড়ির লোকজন মসজিদে মাইকিং করে নদী ভাঙন কবল থেকে রক্ষার জন্য ডাকচিৎকার করে। তাদের ডাকে সারা দিয়ে হরিনাথপুর কওমি মাদরাসা ও স্থানীয় লোকজন এসে তাদের কয়েকটি ঘর ভেঙে সরাতে সক্ষম হন।

এই ব্যাপারে নদী ভাঙন কবলীত এলাকা দেখতে গেলে ভুক্তভোগী শতাধীক লোকজন ইনকিলাবকে জানান আমাদের দেখার মত কেউ নেই। তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে হরিনাথপুর ও বিভিন্ন চরাঞ্চলে বসতি গড়েছেন। অধিকাংশ গরীব পরিবার বিভিন্ন রাস্তার পাশে ও ওয়াপদা, ভেড়িবাঁধে আশ্রয় নেন। এছাড়া পুরাতন হিজলা বাজার লঞ্চ ঘাট এলাকায় বসবাসকারী অর্ধশতাধিক পরিবার এই ভাঙন কবলের স্বীকার হয়। তাদের ঘর নিয়ে এই ভেড়িবাঁধের আশপাশের এলাকায় পুনরায় বসতি গড়ে দারিদ্র পরিবারের লোকজন।

বদরটুনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিলসহ স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ ও ভাঙন কবলীত এলাকার লোকজন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কর্ণেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তারা বলেন আমাদের দাবি একটাই। হরিনাথপুর নদী শাসন বাঁধের উভয় পাশে আরো এক কি.মি. বাঁধ সম্প্রসারন চাই বলে জানান। এই বাঁধ সম্পন্ন হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ হরিনাথপুর বন্দর, হরিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পুলিশ ফারি, ভুমি অফিস, কওমি মাদরাসা, বদরটুনী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বদরটুনী সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাকাসড়ক রক্ষা পাবে। এতে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা হবে বলে জানান স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। উপজেলা চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন ঢালী ও ভাইস চেয়ারম্যান মাস্টার মো. আলতাফ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম ভাঙন কবলিতএলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নানামুখী সাহায্য সহযোগিতার আশ^াস দেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আবিদ হাসানকে নদী ভাঙন কবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে পূর্ণবাসনে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসনের লক্ষ্যে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে সচেষ্ট রয়েছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিটেবাড়িসহ আবাদি জমি বিলীন
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ