বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নয় দিন আগে মা তার সন্তানকে মাদরাসায় রেখে এসেছিলেন। স্বপ্ন ছিল কোরআন মুখস্ত করে হাফেজি পড়া শেষ করবে। কিন্তু গতকাল মাথাবিহীন সেই সন্তানের লাশ নিয়ে বাড়ি ফেরেন মমতাময়ী মা। শেষ বারের মতো নাড়ি ছেড়া সন্তানের মুখটিও দেখতে পারলেন না হতভাগা এই মা। গত মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের আগে ওজু করতে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আবির হোসেন (১১)। পরের দিন মাদরাসার পাশেই ইটভাটায় পাওয়া যায় তার মস্তকবিহীন লাশ। ঘটনাটি ঘটে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরাণী হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায়।
নিহত আবির ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসি আলী হোসেনের বড় ছেলে। সে আলমডাঙ্গার ওই মাদরাসায় পড়তো। ছেলে নিহতের সংবাদ শুনে সকালেই মা গোলাপী খাতুন প্রতিবেশিদের নিয়ে সন্তানের লাশ আনতে চুয়াডাঙ্গায় যান। নিহত আবিরের আশিক হোসেন নামে আরো একটি ছোট ভাই রয়েছে।
এদিকে নিহত আবিরের মাথার খোঁজে ঢাকা থেকে র্যাবের একটি ডগ স্কোয়াট ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে, বুধবার বিকাল পর্যন্ত তার মাথার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। গতকাল বিকালে নিহত আবিরের গ্রামের বাড়ি দৌলতপুরে যেয়ে দেখা যায় হাজার হাজার নারী পুরুষের ভিড়। আবিরকে দেখতে আশেপাশের গ্রাম থেকে তারা এসেছেন। প্রতিবেশিদের ভাষ্য, আবিরদের কোন শত্রæ থাকার কথা নয়। তবে কি কারনে সে হত্যার সিকার হতে পারে এমন প্রশ্নেরও জবাব নেই তাদের কাছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা নিহত আবিরের নানা শামছুর রহমান জানান, নিহত আবিরের বাবা বাড়তি উপার্জনের আশায় এখন দুবাই বসবাস করছে। দুবাই যাওয়ার কিছুদিন আগে আবিরকে চুয়াডাঙ্গর ওই মাদরাসায় ভর্তি করে। বাবা-মা’র ইচ্ছা ছিল আবির কোরআনের হাফেজ হবে। এর আগে সে স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়তো। সেখানে থেকে কোরআন মুখস্থ শুরু করে। ভালোভাবে শেষ করার জন্য ছয় মাস আগে স্থানীয় এক শিক্ষকের পরামর্শে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ওই মাদরাসায় ভর্তি হয়।
মাদরসার প্রধান মুফতি মোহাম্মদ আবু হানিফ জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এশার নামাজের সময় ওজু করতে বেরিয়ে ছেলেটি আর কক্ষে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুজির পর না পেয়ে রাতেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। সকালে মাদরাসা সংলগ্ন একটি ইটভাটার পাশ থেকে তার মস্তকবিহীন লাশ পাওয়া যায়। গত ছয় মাস আগে তার বাবা-মা এসে এই মাদরাসায় ভর্তি করে যান। এরপর গত নয় দিন আগেও তার মা আবিরকে সাথে নিয়ে মাদরাসায় রেখে যান বলে উল্লেখ করেন এই মাদরাসা প্রধান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।