Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন সাবমেরিন পরিদর্শন কিমের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে শঙ্কা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৯, ১২:০১ এএম

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন নবনির্মিত বিশালাকার একটি সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন। এতে দেশটির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে শঙ্কা আরো বাড়ল। কিম মঙ্গলবার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রবাহী এ সাবমেরিন পরিদর্শন করেন বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ। কিমের এ পরিদর্শন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম সবমেরিনের ক্রমাগত উন্নয়ন কর্মসূচিরই সংকেত দিচ্ছে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। কেসিএনএ জানায়, কিমের ‘বিশেষ পর্যবেক্ষণে’ সাবমেরিনটি তৈরি করা হয়েছে। এটি দেশের পূর্ব উপকূলের নৌসীমায় নিয়োজিত থাকবে। খুব শিগগিরই এটি মোতায়েন করা হবে। সাবমেরিনটিতে কি ধরনের অস্ত্রব্যবস্থা আছে কিংবা কিম কোথায় এবং কখন এটি পরিদর্শন করেছেন তা জানায়নি কেসিএনএ। উত্তর কোরিয়ার একটি বড় সাবমেরিনবহর আছে। কিন্তু এর মধ্যে কেবল একটি পরীক্ষামূলক সাবমেরিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম। বিশ্লেষকেরা বলছেন, নতুন সাবমেরিনের আকার দেখে ধারণা করা যায়, ক্ষেপণাস্ত্র বহনের উপযোগী করেই এর নকশা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আমেরিকান বিজ্ঞানীদের ফেডারেশনের ঊর্ধ্বতন গবেষক অঙ্কিত পান্ডা বলেন, ‘স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, এটি এক বিশাল সাবমেরিন। ২০১৪ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার যে সাবমেরিন আছে, তার তুলনায় এটি অনেক বড়।” “২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক কুচকাওয়াজের পর এই প্রথম কোনো পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সামরিকপদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করেছেন কিম। যে পদ্ধতি স্পষ্টতই পারমাণবিক অস্ত্র বহন এবং নিক্ষেপের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি অশুভ সংকেত বলেই মনে হচ্ছে উল্লেখ করে পান্ডা বলেন, “এ বছরের শেষ নাগাদ মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন আনার যে সময়সীমা কিম বেঁধে দিয়েছিলেন, তা এখন আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন।” কেসিএনএ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ