বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা ও তিস্তা অববাহিকার ৭০টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে ঘর-বাড়ি ও রাস্তাঘাট। কুড়িগ্রাম-সদরের বাংটুর ঘাট থেকে ফুলবাড়ী বাঁধের উপর পাকা রাস্তাটি বাংলাবাজার নামক স্থানে ভাঙনের মুখে পড়েছে। বাঁধটি ভাঙলে ৪০-৫০টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চর বড়লই গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল মিয়া জানান, বাঁধের রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় বালুর বস্তা বাঁশের বল্লা দেয়া হয়েছিলো। পানির প্রবল চাপে তাও ধবসে গেছে। এখন যেকোন মুহূর্তে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বা প্রশাসন কোন সাড়া দিচ্ছেনা। জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ পানি বন্দী মানুষ চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে। তাদের গবাদি পশুগুলিও খাদ্য সংকটে পড়েছ্ েঅনেকে বাধ্য হয়ে পানির দামে গবাদি পশু বিক্রি করে দিচ্ছে।
এদিকে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে নাগেশ^রী পৌর এলাকার সাঞ্জুয়ার ভিটা সড়ক। তিস্তার ভাঙনে উলিপুর উপজেলার নাগরাকুড়া টি বাঁধের ৫০ ফুট এলাকা পানির প্রবল চাপে ধবসে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে সেখানে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম ও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: মাছুমা ইয়াসমিন জানান, বাঁধটি রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা যায়, বন্যায় জেলার ৬০টি ইউনিয়নে ৮৯৪টি গ্রামের ২লাখ ৩৮হাজার ৬৭২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ। এছাড়া চলতি বন্যায় নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়েছে এক হাজার ৮৫৩টি পরিবার। ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩ হাজার হেক্টর। বন্যায় এক হাজার ২৪৫কিলোমিটার রাস্তা, ৪০ কি.মি বাঁধ ও ৪১টি ব্রীজ/কার্লভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নলকুপ ক্ষতিগস্ত হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪টি। প্রায় ২লক্ষাধিক গবাদিপশু পানিবন্দি। বন্যার কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজ মিলে এক হাজার ২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।