Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৌমাছির জন্য প্রযুক্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

মৌমাছি পালন শুধু মধুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, গাছপালা পরাগিত করার কাজেও এই পতঙ্গের প্রধান ভ‚মিকা রয়েছে। এই দুই কাজের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে জার্মানিতে এক অভিনব উদ্যোগ শুরু হয়েছে। মৌমাছির গুন গুন শব্দের রকমফের আধুনিক মধুর ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এজন্য মৌমাছি পালক বার বার চাকের কাছে গেলে মৌমাছিরা মানসিক চাপের মুখে পড়ে। আবার খেয়াল রাখা দুই এক দিন বন্ধ করলে অবস্থা আরো মারাত্মক হতে পারে। যেমন রানির মৃত্যু হলে বাকি সব মৌমাছিও মারা যেতে পারে।

মৌমাছি বিশেষজ্ঞ মিশাল রোইসমান মনে করেন, ‘শব্দ আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তার মাধ্যমে মৌচাকের মধ্যে কার্যকলাপ বোঝা যায়, মক্ষীরানির অবস্থা বোঝা যায়, রানি নতুন না পুরানো - তাও টের পাওয়া যায়।’ তিনি বলেন, ‘এর সমাধান পাওয়া গেছে। আমাদের এই পণ্যের মধ্যে একাধিক সেন্সর রয়েছে। মৌচাকের মূল অংশে সেটি বসাতে হয়। তখন ২৪ ঘণ্টা ধরে মৌচাকের উপর নজর রাখা যায়। সেই তথ্য ক্লাউড সার্ভারে আপলোড করে আমাদের অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে মৌচাকে কী ঘটছে, তা বিশ্লেষণ করা হয়।’

যন্ত্রের সেন্সর লাগাতার মৌচাক পর্যবেক্ষণ করে চলে। তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, মৌমাছির গুন গুন শব্দের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ইত্যাদি পরিমাপ করা হয়। এই সব সূচকের মধ্যে কোনো তারতম্য ধরা পড়লে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তা সঙ্গে সঙ্গে শনাক্ত করে।
যেমন মৌমাছিদের কোনো রোগ হলে তা ধরা পড়ে। অনলাইন পদ্ধতিতে মৌমাছি পালককে বার্তা পাঠানো হয়, যাতে তিনি দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন। এক অ্যালগোরিদম নথিভুক্ত মৌমাছি পালনকারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে সেই সব বসতির সন্ধান দেয়, যেগুলি কাজে লাগানো সম্ভব। সূত্র : ডয়েচ ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ