পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের কৃষি এবং কৃষক মূলত আবহাওয়া ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভরশীল। অধিকাংশ ক্ষুদ্র কৃষক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছর ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন হন, যা বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বর্তমানে যে জলবায়ু পরিবর্তন এর প্রভাবে দিনে দিনে কৃষিতে জড়িত কৃষকরা আরও ঝুঁকির মুখে পড়ছে। কৃষকের জন্য সঠিক উৎপাদন কৌশল, ভাল মানের উপকরণ নিশ্চিতকরণের সাথে তার বাজার ব্যবস্থাপনা যেমন জরুরী তেমনি তার উৎপাদিত পণ্যের বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।
সোমবার (২২ জুলাই) সিভিক এনগেজমেন্ট এলায়েন্স প্রোগ্রামের উদ্যোগে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন এবং ইককো করপোরেশন এবং হেলভিটাস সুইস ইন্টার কোঅপারেশন-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘কৃষি ভিত্তিক ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ প্রেক্ষিত : সমস্যা ও সম্ভাবনা’ বিষয়ে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ সব কথা বলেন। আলোচনা বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসাসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বীমা উন্নয়ন এবং নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন গকুল চাদঁ দাস, সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, মাঠ পর্যায়ের কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি, হেলভিটাস বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর শামীম আহমেদ এবং ইককোর এডভোকেসি বিশেষজ্ঞ আরশাদ সিদ্দিকীসহ বীমা বিষয়ে অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বিশে^ ঝুকি মোকাবিলাতে কৃষি ভিত্তিক বীমা একটি সুরক্ষা হিসাবে কৃষকের পাশে থাকে, এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে। কিন্তু এখনও বাংলাদেশে কৃষি ভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা বা কোন প্রাতিষ্ঠানিক ইন্স্যুরেন্স ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। যদিও বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে কিন্তু তা মূল ধারায় আসেনি। বাংলাদেশে বীমা শিল্প অনেকদুর এগিয়েছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে যে সেক্টরে, তার দিকে আমাদের পরিপূর্ন দৃষ্টি দেওয়ার সময় এসেছে।
বক্তারা বলেন, আমাদের কৃষি বান্ধব সরকার বিগত কয়েকবছর ধরে কৃষি বীমার ব্যাপারে উৎসাহ এবং উদ্যোগ নিয়েছেন, এখন সময় এসছে আমরা যারা এই বীমার সাথে জড়িত তাদের আরও কার্যকরী ভাবে এগিয়ে আসার।
এই আয়োজনের মাধ্যেমে বাংলাদেশে আগামী দিনে কৃষি বীমা কার্যক্রম আরও বেশী সমম্প্রসারণ, ক্ষুদ্র কৃষকের দোরগড়ায় পৌছে দেওয়ার জন্য সরকার এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে সুনিদিষ্ট নীতি প্রনয়ন, কার্যপন্থা প্রনয়ন এবং সহযোগীতা প্রদান করার আহবান জানানো হয়। একই সঙ্গে যারা এই সেক্টরে কাজ করেছেন সবাইকে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।