মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া বা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকরা। ব্রেক্সিট ইস্যুতে আবারো গণভোটের দাবি জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে ব্রেক্সিটে সমর্থন দেয়ায় সম্ভাব্য নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রতিবাদকারীরা। তবে জনসন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলে, তিনি ব্রেক্সিট সংকটসহ অন্যান্য সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার দিন কয়েক আগে প্রতিবাদে মুখর যুক্তরাজ্য। স্তানীয় সময় শনিবার দুপুরে লন্ডনে প্রতিবাদে অংশ নেন কয়েক হাজার ব্রিটিশ নাগরিক। তারা ইউরোপ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার বিপক্ষে নানা শ্লোগান দেন। ২০১৬ সালের ২৩শে জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেন সাধারণ ব্রিটিশরা। এর তিন বছর পর এসে এবার নিজেদের মতের বিপক্ষেই রাস্তায় নামলেন তারা। প্রতিবাদকারীদের দাবি, ব্রিটেনের কল্যাণের জন্যই ব্রেক্সিট পরিকল্পনা বাতিল করা উচিত। তারা বলেন, ব্রেক্সিট কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ এটি আমাদের দেশের জন্য কখনোই ভালো হবে না। আমরা ইউরোপে অনেক শক্তিশালী। তাই ইউরোপে ফিরে যাওয়া আমাদের নৈতিক অধিকার। প্রতিবাদকারীরা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে শ্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্লাকার্ড বহন করেন। এসময় তাদের ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা বহন করতেও দেখা যায়। ব্রেক্সিটবিরোধীরা সাবেক ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বরিস জনসনের কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে আবারো গণভোট আয়োজনের জন্যও তারা সরকারের প্রতি দাবি জানান। প্রতিবাদকারীরা বলেন, বরিস এবং ব্রেক্সিট কোনটিই চাই না আমরা। সরকারের উচিত আমাদের চূড়ান্ত মতামত জানানোর একটি সুযোগ দেওয়া। আমাদের বিশ্বাস ব্রিটিশরা এবার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। সাধারণ ব্রিটিশরা বরিস জনসনের বিপক্ষে অবস্তান নিলেও তার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জনসনই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উপযুক্ত ব্যক্তি। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি জনসনকে খুবই পছন্দ করি। টেলিফোনে তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সে খুবই ভালো করবে। আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক আগামী দিনে আরো দৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে ব্রেক্সিট সঙ্গটও খুব দ্রুত সমাধান হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলে বুধবার পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়ে দিলেন দেশটির বিচারমন্ত্রী ডেভিড গাউকে। জনসন কোনও চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট কার্যকর করলে তার অধীনে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন গাউকে। রোববার এক প্রতিবেদনে স্থানীয় গণমাধ্যম সানডে টাইমসের বরাতে একথা জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দি ইনডিপেনডেন্ট। গাউকে বলেন, টেরিজা মে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এই মন্ত্রিসভায় আছি আমি। আমি তার কাছেই পদত্যাগ করতে চাই। দেশটির ক্ষমতাসীন টরি দলের প্রধান নির্বাচনের ভোটদান সোমবার শেষ যাবে। এর পরের দিন ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এই লড়াইয়ে এগিয়ে আছেন জনসন। ইউরোপের অনেক রাজনীতিক চান তিনি যেনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট কার্যকর না করেন।রয়টার্স, বিবিসি, ইন্ডিপেনডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।