মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চার নারী কংগ্রেস সদস্যকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্ণবাদী মন্তব্য অব্যাহত রয়েছে। ইলহান ওমরকে দেশে ফেরত পাঠানোর শ্লোগান দেয়ায় সমর্থকদের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে, ট্রাম্পের বর্ণবাদী মন্তব্যের কারণে কয়েক লাখ মার্কিনী হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে। সম্প্রতি নর্থ ক্যারোলিনার এক সমাবেশে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমরের কঠোর সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় তার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে ইলহান ওমরকে ফেরত পাঠাও শ্লোগান দেন ট্রাম্প-সমর্থকরা। ট্রাম্পের বক্তব্যকে তার অনুসারীরা সমর্থন জানালেও এ ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেছেন সাধারণ মার্কিনীরা। তারা বলছেন, এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে মার্কিনীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন রিপাবলিকানরা। একজন বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়াচ্ছেন। তিনি ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়িয়ে সুযোগ খোঁজার চেষ্টা করছেন। আরো একজন বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছেন। আর এটিই তার রাজনৈতিক পুঁজি। অপর আরেকজন বলেন, ট্রাম্পের টুইট নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা বর্ণবাদের যে অভিযোগ তুলেছেন পুরোটাই সত্য। যুক্তরাষ্ট্র বর্ণবাদে ভরে গেছে। আমার মনে হয়, মার্কিনীদের এখনই এ বিষয়ে গভীর চিন্তা করতে হবে। তবে ইলহান ওমরকে নিয়ে সমর্থকদের এ ধরনের আচরণকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমর্থকদের ওই শ্লোগানে সত্যিই অভিভূত তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্ণবিদ্বেষী ভাষা ব্যবহারকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ২০২০ সালের নির্বাচনে পুনরায় জয় পেতে কট্টরপন্থীদের সমর্থন আদায়ে তিনি এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন বলেও মনে করেন তারা। টাফ্টস ইউনিভার্সিটি রাজনীতি বিশ্লেষক জেফরি ব্যারি বলেন, ট্রাম্পের এ ধরনের বক্তব্য প্রতিনিয়ত বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এটা তার রাজনৈতিক কৌশল। তিনি ভালো করেই জানেন, আগামী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটরা এগিয়ে আছেন। আর তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল ও কম শিক্ষিতদের টার্গেট করেছেন। এদিকে, সোমালীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন নারী কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তার নির্বাচনী এলাকা মিনেসোটার বাসিন্দারা। শুক্রবার মিনেসোটা বিমানবন্দের পৌঁছালে তাকে স্ত^াগত জানান শত শত মানুষ। এসময় তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুধু বর্ণবাদীই নন, তিনি একজন ফ্যাসিস্টও। মার্কিন নারী কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর বলেন, আমরা এমন এক আমেরিকা চাই, যেখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ তাদের মর্যাদা ও মানবিকতার পূর্ণ স্তীকৃতি পাবে। আর ট্রাম্প ঠিক সেই আমেরিকাকেই ভয় করেন। প্রেসিডেন্টের নীতিগুলো চরম ভয়াবহ। ইন্টারনেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।