রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে সেটি প্রমান করলেন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামের বিউটি খাতুন জন্ম থেকেই দু’হাত নেই জয়পুরহাটের বিউটি খাতুনের। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মাঝেও এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় পা দিয়ে লিখে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছেন তিনি। এর আগে জেএসসি ও এসএসসিতে পেয়েছিলেন জিপিএ ফাইভ। জীবনের সব বাধা পেরিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চান বিউটি খাতুন।
দু’হাত ছাড়াই যখন বিউটির জন্ম হয়, মা-বাবার প্রধান দুশ্চিন্তা ছিল, মেয়েটা স্বাভাবিক জীবন কাটাতে পারবে তো? পারবে তো এই কঠিন সমাজ বাস্তবতায় টিকে থাকতে? তবে যত দিন যাচ্ছে মা-বাবার কপালে থাকা সেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে, আর ঠোঁটে ফুটে উঠছে হাসি। বিউটি নিজের ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম দিয়ে তাঁদের বোঝা না হয়ে ক্রমেই হয়ে উঠছেন সফল। প্রবল ইচ্ছ শক্তি দিয়ে পা দিয়ে লিখে সেটি প্রমান করলেন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অর্জন করেছেন সাফল্য। বিউটি এখন চান উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে, আত্মনির্ভশীল হতে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক শাখায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চান। তার পছন্দের তালিকায় প্রথমে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সুযোগ পেলেও খুশি হবেন। ভবিষ্যতে তিনি শিক্ষক হতে চান। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পেছনে তার মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। মা তাঁর জন্য অনেক কষ্ট করেছেন।
বিউটি আক্তারের জন্ম ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামে। তাঁর বাবা বায়োজিদ ও মা রহিমা বেগম। বাবা একজন দরিদ্র কৃষক। বিউটির বড় ভাই বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর করেছেন।
বাবা বায়োজিদ হোসেন বলেন, মেয়ে যখন দুটি হাত ছাড়াই জন্ম নিল, তখন সত্যিকার অর্থে তাদের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। বিউটি লেখাপড়া করতে পারবে, এটা তাদের ভাবনাতেই ছিল না। শুধু চিন্তা হতো, মেয়েটা একাএকা তার প্রয়োজনীয় কাজ সামলাতে পারবে তো? মা রহিমা বেগম বলেন, বিউটির পড়া বিষয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। কারণ, পড়তে পারলেও লেখাটাই ছিল বিউটির জন্য প্রধান সমস্যা। তিনি বলেন, প্রথমে দিকে তিনি মেয়েকে পা দিয়ে লেখা শেখানোর চেষ্টা করতেন। ঘরের মেঝেতে বসিয়ে তাঁর ডান পায়ের আঙুলের ফাঁকে পেনসিল অথবা কলম ধরিয়ে দিতেন। শুরু দিকে বিউটির খুব সমস্যা হতো। তবে প্রতিনিয়ত বিউটি চেষ্টা চালিয়ে যান। একপর্যায়ে পা দিয়ে লেখা আয়ত্তে আনেন। রহিমা আরও বলেন, বিউটির অদম্য মনোবলই তাঁকে এত দূর নিয়ে এসেছে। যতই কষ্ট হোক, তাঁকে উচ্চশিক্ষিত করে তুলবেন।
দুপচাঁচিয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সামছুল হক বলেন, মেয়েটি মেধাবী। নিয়মিত ক্লাস করত। পা দিয়ে লিখলেও তার ইংরেজি ও বাংলা দুটি লেখাই ভালো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।