Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিরামপুরে সবজি উৎপাদনে বাড়ছে কৃষকের আগ্রহ

বিরামপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

দিনাজপুর জেলা কৃষি প্রধান অঞ্চল। এ জেলার অন্তগর্ত বিরামপুর উপজেলাটি শস্য ভান্ডার হিসাবে খ্যাত। ধানের পাশাপাশি এ উপজেলার কৃষকের আগ্রহ সবজি চাষ। এক বিঘা জমিতে এক সাথে ৩/৪ প্রকার সবজি চাষ করা যায়, সার কম লাগে লাভ হয় বেশী।

ধানের তুলনায় সবজি চাষে খরচ কম। সবজি ওঠে এক-দেড় মাসে। সময় কম লাগে পরিচর্চা কম করতে হয়। এ কারনে সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকের উৎপাদিত প্রধান খাদ্য ধান যে জমিতে হয় না সে সব উঁচু জমিতে কৃষকেরা সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছে।

বিরামপুর পৌর এলাকার মামুদপুর গ্রামের সবজি চাষি মামুনুর রশীদ, মাহমুদুল হাসান রিপন, মোজাম্মেল হক, জানান, তিনি দুই একর জমিতে সবজি চাষ করেছেন।

১৫/২০ হাজার টাকা খরচ করে এক সাথে ৩/৪ প্রকার সবজি চাষ করে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা সবজি বিক্রী করেছেন। ধানের বাজারের যে হাল ধান আবাদ করা তারা বাদ দিয়েছেন বলে জানান, লাভ বেশী হওয়ায় বড়ছে সবজি চাষ। মৌসুমে কোন কোন সময় সবজি দাম কম থাকলে আড়ৎদারদের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে কৃষকেরা লাভের মুখ কম দেখলেও বেশী লাভবান হন আড়ৎদার-কাম-খুচরা ব্যবসায়ীরা।

বিরামপুরে যে সবজির দাম (কেজি প্রতি) ১০ টাকা বিক্রী হয়, ঐ সবজি ঢাকায় বিক্রী হয় ৩০ টাকা। এদিকে কৃষকদের সবজি ক্ষেতে কিটনাশক প্রয়োগ না করতে, বিরামপুর কৃষি অফিসের উদ্যোগে চলছে (আইপিএম) পদ্ধতিতে সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করণ।

জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে মুকুন্দপুর, কাঠলা, পলিপ্রয়াগপুর ও বিরামপুর পৌর এলাকাধীন শত শত একর অনাবাদী জমিতে কৃষকেরা চাষ করছে সবজি। শাক-সবজি উৎপাদন এবং পরিবেশ বান্ধব মানব দেহে ক্ষতি করে না, বালাই নাশক ঔষুধ সবজি ক্ষেতে প্রযোগ না করতে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রকার শাক সবজি বিশেষ করে, করলা, ঢেড়স, বেগুন, শসা, পটল, ঝিংগা, টমেটো, লাউ, কুমড়া, পাটশাক, লাচ্ছা-শাক পুঁইশাক ঐ পদ্ধতিতে চাষ করছেন।

সবজি ক্ষেতের পোকা মাকড় দমনের জন্য কৃষি প্রযুক্তি অন্যতম, সেফ ফেরোমন ফাঁদ, জৈবীক বালাই নাশক কান্ড, নিরবি সিভিল, ভার্মিকম্পোস সার ব্যবহার করে চাষিরা সবজি চাষ করছেন। বিরামপুরের নতুন বাজার ‘সবজিহাট’ নামক কাঁচা বাজারটি পাইকারদের কাছে বহুল পরিচিত।

বিরামপুর নতুন বাজার কাঁচা মালের মোকাম থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার কাঁচা মাল কাম-সবজি ১৫/২০ টি ট্রাকে লোড হয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকাড়েরা সরবরাহ করছে।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিকছন চন্দ্র পাল জানান, কৃষি সম্প্রসারন অফিসের উদ্যোগে মানবদেহে ক্ষতি করে না, এমন দেশিয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ খাদ্য উপাদনের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ, অনুদান প্রদান করে ভেজালমুক্ত সবজি উৎপাদনে জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ