পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকাবাসীর মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের শেষ নেই। ঢাকার দুই সিটি মেয়র মশা নিধন নিয়ে বাগাড়ম্বর করলেও গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নিজেও এই বাস্তবতা স্বীকার করে বক্তৃতা দিয়েছেন। ডেঙ্গু রোগের পাদুর্ভাব এমন পর্যায়ে গেছে যে, ডাক্তাররাও এ নিয়ে আতঙ্কিত। একজন ডাক্তারও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে।
প্রতিদিন শুধু ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) গড়ে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ঢামেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অন্যান্য রোগীর সঙ্গে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের। হাসপাতালের বারান্দা ও ফ্লোরে রেখে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার হাসপাতালে সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। ঢামেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা হিসাব করে রাখা হচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগ নিয়ে জানাতে গিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুন-জুলাই মাসে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। এই মশা কামড়ালে ডেঙ্গু জ্বর হয়। প্রতি বছরই ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার এই রোগীর সংখ্যা বেশি।’ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেডের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। সেজন্য অনেককেই ফ্লোরে রাখা হয়েছে। এবার ডেঙ্গু রোগীও অনেক বেশি।’ তবে তিনি জানান, ডেঙ্গু কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। অন্য রোগীর সঙ্গে থাকলে কোনো সমস্যা নেই। তবে হাসপাতালে যদি এডিস মশা থাকে তাহলে আক্রান্ত রোগীকে কামড়ানোর পর সুস্থ রোগীকে কামড়ালে তার ডেঙ্গু হওয়ার অশঙ্কা থাকে। তার ইউনিটে বর্তমানে ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঢামেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। গত ১০ জুলাই থেকে ৮ দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ১৬৯ জন ভর্তি হয়েছে। ফাতেমা (৪৩) নামে আজিমপুরের বাসিন্দা এক রোগী মারা গেছে। এর আগে গত ২৬ জুন ফরিদপুরের ৫০ বছর বয়সী রাবেয়া সরদারের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারাদেশ থেকেই রোগীরা ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি হচ্ছে। যাদের ছেড়ে দেয়ার দরকার তাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।’ সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, ‘রোগটা যেহেতু মশাবাহিত। সেজন্য এই মশা আক্রান্ত রোগীকে মশারি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। আলাদা করে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে তাদের চিকিৎসার কমতি হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (হেলথ ইমার্জেন্সি সেন্টার) ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, এ রকম অনেক হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা ওয়ার্ড নেই। যেসব হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড আছে, সেগুলোতে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।