Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার বন্যার্তদের পাশে রয়েছে গাইবান্ধায় পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময়ই সব সঙ্কট ও দুর্যোগে মানুষের পাশে থেকেছে। কিভাবে দুর্যোগ দুর্ভোগ মোকাবেলা করতে হয়, সেটা আওয়ামী লীগ জানে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবারের বন্যায়ও সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সারাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও এবারের সঙ্কট মোকাবেলায় বন্যার্তদের পাশে আছে। আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

গতকাল শুক্রবার গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ২৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীতে ৪.৫ কি.মি. নদীতীর সংরক্ষণ, ৮.৫ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ১০ কি.মি. ড্রেজিং কার্যক্রম গাইবান্ধায় চলমান আছে। এনামুল হক শামীম বলেন, গাইবান্ধা শহরকে বন্যার কবল থেকে রক্ষায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ কি.মি. বেড়িবাঁধ নির্মাণে আরো একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক পুরো গাইবান্ধায় ১৮টি ঝুঁকিপ‚র্ণ পয়েন্ট আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মধ্যে একটির আপৎকালীন কাজ শেষ হয়েছে, তিনটির কাজ চলমান আছে এবং ১৪টি পয়েন্টের কাজ আজকেই স্পট টেন্ডার করা হয়েছে।

এ সময় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এবারের বন্যা ’৮৮ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এবারের বন্যায় ত্রাণের জন্য কারো হাহাকার করা লাগেনি এবং লাগবেও না। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী ইতোমধ্যে বরাদ্দ ও বিতরণ করা হয়েছে। আরো যত ত্রাণ প্রয়োজন হবে, মানুষের কষ্ট লাঘবে তা সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দেয়া আছে। তাই বন্যাপরবর্তী সঙ্কটও আমরা ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবো।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ত্রাণ বিতরণ ও আলোচনা সভায় বলেন, সারাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে। কোথাও বরাদ্দের অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে, আমরা তা সাথে সাথেই অনুমোদন করছি। বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণের কোনো সঙ্কট নেই। তাই গাইবান্ধাবাসীরও ত্রাণ নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই।

এ সময় ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী গাইবান্ধায় এ পর্যন্ত ১৫০০ টন চাল, ৩০ লাখ নগদ অর্থ সহায়তা, ৬০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৫০০ তিরপল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় বৈঠকেই ৫০০ বান্ডেল ঢেউটিন এবং ১৫ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা অনুমোদন করেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে তারা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় যোগ দেন। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রোখছানা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি, সংসদ সদস্য শামীম হায়দার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রোকনুদ্দৌলা, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ