মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং আসাম রাজ্য সরকার কার্যত স্বীকার করেছে যে, আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি লেজেগোবরে হয়ে গেছে। সীমান্ত সংলগ্ন জেলাগুলোতে ২০% এনআরসি ডাটা, এবং অন্যান্য জেলাগুলোতে ১০% এনআরসি ডাটা পুনরায় যাচাই করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় ও আসাম সরকার। চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশ করার মাত্র পক্ষকাল আগে এই আবেদন করা হলো। এই আবেদনের কারণ হলো গত বছর ৪০ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে যে এনআরসি খসড়া তৈরি করা হয়েছে, সেখানে বহু অনিয়ম পাওয়া গেছে। আসাম সরকারের মতে, যথার্থ কাগজপত্র না থাকায় এনআরসি থেকে বহু আসল নাগরিক বাদ পড়ে গেছে, আবার অনেক বিদেশি ঘোষিত ব্যক্তি এই খসড়া তালিকায় জায়গা পেয়ে গেছে। সেই সাথে, এ ধরনের অভিযোগও রয়েছে যে বহু ‘অবৈধ অভিবাসী’ এনআরসি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছে। এ সব অভিযোগ যদি সত্যি হয়, তাহলে বলতে হবে এনআরসি প্রক্রিয়া পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের মান ও গ্রহণযোগ্যতা এখন ধোঁয়ায় ঢাকা পড়েছে। যারা অযোগ্য, তারা যদি তালিকায় জায়গা পেয়ে থাকে, তাহলে এ ধরনের কোন নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না যে, যারা বাদ পড়েছেন, তারা সবাই সত্যিকারের অবৈধ। কার্যত, আরও এক লাখ মানুষকে স¤প্রতি খসড়া এনআরসি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। যেখানে কেন্দ্রীয় ও আসাম সরকার পুনরায় যাচাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন, সেখানে কিভাবে আমরা বলতে পারি যে, এটা সঠিক হয়েছে। এই বিশৃঙ্খলাটা পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল না। যে দেশে তথ্য সংরক্ষণের সংস্কৃতি খুবই দুর্বল এবং যেখানকার আমলারা অদক্ষ, সেখানে জনগণকে ৪০ বছরের পুরনো পরিচয় প্রমাণের আহ্বান জানানোটা হাস্যকর। আর এই প্রমাণ করা না করার ভিত্তিতে তাদের নাগরিকত্বের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়াটা অস্বাভাবিক। সুপ্রিম কোর্ট যদি পুনর্যাচাইয়ের আবেদন গ্রহণ করে, তাহলে কিভাবে চলতি মাসের শেষে চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশিত হবে, সেটা বোধগম্য নয়। সে ক্ষেত্রে, সময়সীমা বাড়াতে হবে এবং পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়টাতে যারা এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন, তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। এবং আসামের যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা, সে ক্ষেত্রে অন্যান্য রাজ্যেও এটা শুরু করার চিন্তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার নির্বাচিত সম্পাদকীয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।