মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতন বিষয়ে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে চায় বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রসিকিউটর কার্যালয়ের ডেপুটি প্রসিকিউটর জেমস স্টুয়ার্ট। তিনি আরও বলেন, আইসিসি বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা নানাবিধ অত্যাচার এবং নির্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। আইসিসি এই নির্যাতনের সত্য ঘটনা তুলে ধরতে চায় এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেস কনফারেন্সে এসব কথা জানান জেমস স্টুয়ার্ট। এসময় আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর ফেতো বেনসুদা’র পক্ষে প্রেস কনফারেন্সে বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের একাধিক প্রশ্নের জবাব দেন।
জেমস স্টুয়ার্ট জানান, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করার অধিকার আইসিসির আছে কি না, তা জানতে চেয়ে গত ২০১৮ সালের এপ্রিলে একটি আবেদন করেন প্রধান প্রসিকিউটর ফেতো বেনসুদা। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানির পর গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে আদালত সিদ্ধান্ত দেন যে তার এই অধিকার আছে। সর্বশেষ গত ৪ জুলাই আদালত প্রধান প্রসিকিউটর ফেতো বেনসুদাকে জানান যে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে তদন্ত কাজ শুরু করতে পারবেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী, তদন্ত কাজ করতে আদালতের চূড়ান্ত অনুমোদন আসবে আরও ৩ মাস পর বা অক্টোবরে।
তিনি জানান, রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিষয়ে আমরা এখন তদন্ত কাজ করতে বাংলাদেশ সফরে আসিনি। আমরা এসেছি, আইসিসি’র নিয়ম-কানুন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারকে অবহিত করতে। আইসিসি’র সঙ্গে মিয়ানমারের কোনো সম্পর্ক নেই কিন্তু বাংলাদেশের (স্টেট পার্টনার) রয়েছে। এরই মধ্যে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র এবং আইন, সংসদ ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আইসিসি’র ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিচার নিশ্চিতে আইসিসি’র সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এই বিষয়ে দুইপক্ষের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা চলছে।
গণমাধ্যমকর্মীদের একাধিক প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি প্রসিকিউটর জেমস স্টুয়ার্ট বলেন, আইসিসি’র চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর যতো দ্রæত সম্ভব তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। দ্রæত যাতে এই কাজ শেষ করা যায় সেজন্য এখন থেকেই আনুষঙ্গিক বিষয় বিবেচনায় রেখে কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা নির্যাতনের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আইসিসি বাংলাদেশের কাছ থেকে মৌলিক কিছু সমর্থন প্রত্যাশা করে। যার মধ্যে নিরাপত্তা অন্যতম। এর আগে, চলতি বছরের মার্চে আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর ফেতো বেনসুদা’র প্রতিনিধি দলের পক্ষে প্রসিকিউটর কার্যালয়ের পরিচালক ফাকিসো মচোচোকো বাংলাদেশ সফর করেন। ওই সময়ে (১১ মার্চ) ফাকিসো মচোচোকো গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কাজ চালিয়ে যাবে আইসিসি’র প্রধান প্রসিকিউটর। এ জন্য দলটি প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ সফর করছেন। এই সফরে তারা আইন, স্বরাষ্ট্র এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। পাশাপাশি কক্সবাজারের একাধিক রোহিঙ্গা শিবিরে ভুক্তভোগীদের কথা শুনেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।