Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যার্তদের দুর্বিষহ জীবন

ত্রাণের অপেক্ষায় লাখো মানুষ বানের পানি হ্রাস-বৃদ্ধি

শফিউল আলম | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ঢল বানের পানি হ্রাস-বৃদ্ধি বজায় রয়েছে। যমুনা নদপাড়ের জনপদ থেকে মধ্যাঞ্চল হয়ে মেঘনার ভাটির কাছাকাছি পর্যন্ত বন্যার চাপ এখন তীব্র। কারণ উজানের পানি নামছে সাগরের দিকে প্রবলবেগে। প্রধান নদ-নদীগুলোর উজানে ভারতে এবং ভাটিতে বাংলাদেশের ভেতরে গত কয়েকদিনে তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। এরফলে বানের পানির তোড় কমে আসছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে এবং চার দিন ধরে সিলেটসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীসমূহে বিপদসীমার পানি হ্রাস পাচ্ছে। তবে উজানে গঙ্গা-পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে পদ্মা নদীর ভাটিতে বানের তীব্র ঘূর্ণি¯্রােত সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাহত ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ফেরিসহ নৌযান চলাচল। উত্তর জনপদ থেকে আসা ঢলের তোড়ে বিভিন্ন স্থানে তলিয়ে যাচ্ছে সড়ক রেললাইন হাট-বাজার ফসলি জমি শিক্ষা ও সরকারি প্রতিষ্ঠান।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে খাবার বাসস্থান ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে। দূষিত পানিবাহিত রোগ-ব্যাধি ছড়ানোর ঝুঁকি সর্বত্র। বন্যার্তরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। লাখো মানুষ ত্রাণ সাহায্যের আকুল অপেক্ষায়। অনেকেরই এক-আধবেলা খাবার জোগাড়ের উপায় নেই। খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে মানুষ। তারা এ মুহূর্তে খাদ্য চায়। বানের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বসতঘরে ফেরার জন্য গৃহনির্মাণ সামগ্রী চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী মিলছে খুবই অপ্রতুল। দেশে এনজিও’র মিছিল থাকলেও বন্যাকবলিত এলাকায় তাদের এখন খবর নেই। যদিও আরও কিছুদিন পর সুদি-মহাজনি কারবারে তাদের তোড়জোড় চোখে পড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে বলছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হ্রাস পেতে পারে। তবে যমুনা নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকার কাছে শীতলক্ষ্যা নদী ২৪ ঘণ্টায় লাখপুরে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, জামালপুর ও গাইবান্ধা জেলায় বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসে জানা গেছে, বাংলাদেশের উজানের দিকে ভারতের প্রদেশগুলোতে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গতকাল ২৪ ঘণ্টায় দেশের নদ-নদীসমূহের ৯৩টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৪৮ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি এবং ৪৪টিতে হ্রাস পায়। বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ১৩টি নদ-নদী ২৪টি পয়েন্টে। আগের দিন (বুধবার) ৪৯টি স্টেশনে পানি বৃদ্ধি ও ৩৮টিতে হ্রাস পায়। বিপদসীমার ঊর্ধ্বে ছিল ২৩টি পয়েন্টে। গত মঙ্গলবার পানি বৃদ্ধি পায় ৬৩, হ্রাস পায় ২৯ পয়েন্টে।
গতকাল ২৪ ঘণ্টায় উজানে উত্তর-পূর্ব ভারতে এবং এর কাছাকাছি বাংলাদেশের মূলত নদ-নদী এলাকাগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে বৃষ্টিপাত হয়নি। আগামী ৫ দিনেও প্রায় একই অবস্থা বজায় থাকতে পারে।

নদ-নদীর বিপদসীমা পরিস্থিতি
পাউবো’র সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের প্রবাহ এবং বিপদসীমা সম্পর্কে জানা যায়, গতকাল বিকেল পর্যন্ত দেশের উত্তর জনপদে প্রধান অববাহিকা ব্রহ্মপুত্র নদে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে পানির প্রবাহ কিছুটা কমে এসেছে। ব্রহ্মপুত্র নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ও চিলমারীতে ১২৫ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদে পানিবৃদ্ধি অতীত রেকর্ড ভঙ্গ করেই চলেছে। ৬টি পয়েন্টের সবকটিতে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে বয়ে যাচ্ছে। যমুনায় পানি আরও বেড়ে গিয়ে বাহাদুরাবাদে বিপদসীমার ১৬৬ সে.মি. ঊর্ধ্বে রয়েছে। ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৫৩ সে.মি., সারিয়াকান্দিতে ১২৭ সে.মি., কাজিপুরে ১২৬ সে.মি., সিরাজগঞ্জে ৯৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর গতকাল আরিচায় যমুনার পানি বিপদসীমার ১৭ সেমি ঊর্ধ্বে উঠে গেছে।

উত্তর জনপদের কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। বয়ে যাচ্ছে বিপদসীমার ১০৪ সে.মি. ওপর দিয়ে। তিস্তা নদী বিপদসীমার নিচে রয়েছে। গাইবান্ধায় ঘাগট নদীর পানি কিছুটা বেড়ে বিপদসীমার ৯৪ সে.মি. ঊর্ধ্বে আছে। উত্তরের বন্যা মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এরফলে টাঙ্গাইলের এলাসিন ঘাটে ধলেশ্বরী নদী বিপদসীমায় আরও বেড়ে ৭৪ সেমি ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঘাবাড়িতে আত্রাই নদীর পানি আরও বেড়ে বিপদসীমার ৫২ সে.মি. ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। সিংরায় গুর নদীর পানি বিপদসীমার ১৪ সেমি নিচে, ঢাকার কাছে শীতলক্ষা নদীর পানি লাকপুরে বিপদসীমা ছোঁয়ার পথে মাত্র ২ সেমি নিচে রয়েছে।

অন্যতম বৃহৎ নদী অববাহিকা গঙ্গা-পদ্মায় সবকটি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মার ভাটিতে গোয়ালন্দে পানি বিপদসীমার ৪১ সে.মি. এবং ভাগ্যকূলে বিপদসীমার ৮ সে.মি. ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মার ভাটিতে সুরেশ্বরে পানি কমেছে।

উত্তর-পূর্ব জনপদে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি হ্রাসের ধারা অব্যাহত থাকায় এ অঞ্চলে বন্যা উন্নতির দিকে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদী তিনটি করে ৬টি পয়েন্টে পানি আরো হ্রাস পেয়ে গতকাল বিপদসীমার ১২ সেমি থেকে ৬০ সে.মি ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হয়। মনু, খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। পুরাতন সুরমা নদীর পানি আরো কমে এসে দিরাইয়ে ৭ সেমি ওপরে। সোমেশ্বরী নদীর পানিও কমছে, কলমাকান্দায় বিপদসীমার ৪৯ ঊর্ধ্বে আছে। কমেছে কংস নদীর পানি। জারিয়াজঞ্জাইলে বিপদসীমার ১১ সেমি ওপরে রয়েছে। তিতাস নদীর পানির সমতল আরো বৃদ্ধি পেয়ে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বিপদসীমার ১৩ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার বর্তমান পরিস্থিতি :
বগুড়া ব্যুরো : শত বছরের রেকর্ড ভেঙে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি পানি বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে এই তথ্য জানিয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন , দ্রæত গতিতে এই পানি বৃদ্ধির ফলে যে কোন মুহুর্তে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : ব্রহ্মপূত্র ও ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল হলেও তীব্র ভাঙনের ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। রৌমারীর বন্দবের এলাকায় এলজিইডি’র সড়ক ভেঙে যাওয়ায় গোটা উপজেলা এখন পানিবন্দী। এদিকে উলিপুরের গুণাইগাছ ইউনিয়নের কাজির চক এলাকার সুমন মিয়ার দেড় বছরের শিশু ফুয়াদ পানিতে পরে মারা গেছে। এনিয়ে গত ৩দিনে জেলায় পানিতে ডুবে মারা গেল ১১ জন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি ২ সে.মিটার কমে ১৩০ সে.মি এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ২ সে.মি কমে বিপদ সীমার ১০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ধরলা নদীর পানি ৭সে.মি কমে বিপদসীমার ১১৬ সে.মিটার উপর দিয়ে বইছে।

স্টাফ রির্পোটার, গাইবান্ধা জানায় : উজানের ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীগুলোর পানি বেড়েই চলেছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুয়ায়ী ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপদ সীমার ১৫০ সেন্টিমিটার ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে গাইবান্ধা সদরের কাজলঢোপ এলাকায় ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ১০০ মি. অংশ ধসে যাওয়ায় গাইবান্ধা -সাদুল্লাপুর সড়কের উপর দিয়ে কাজলঢোপ, কদমের তল, ব্রিজ বাজার এলাকায় বন্যার পানি প্রবল স্রোতে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়ে। অন্যদিকে গাইবান্ধা -সাঘাটা সড়কের পিটিআই থেকে বাদিয়াখালী পর্যন্ত সড়কের উপর ২ ফুট পানি নিচে থাকায় ও সাঘাটা উপজেলার পোড়াবাড়ী এলাকায় ২০০ ফুট পাকা সড়ক ধসে গাইবান্ধার সাথে সাঘাটার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধা রেল স্টেশনের মাস্টার আবুল কাশেম জানান, বন্যার পানির তীব্র ¯্রােতে রেল লাইনের নীচ থেকে ¯িøপার, মাটি ও পাথর ধ্বসে গিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় সাময়িকভাবে ট্রেন চলাচলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমা ৯৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা চলছে।

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা: উলিপুরে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার্ত মানুষেরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও গবাদী পশু নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রান তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। বন্যা দূর্গতরা শুকনো খাবারের জন্য হাহাকার করছেন।

উপজেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য জেলা থেকে প্রাপ্ত ৩শ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪৫ মেঃ টন জিআর চাল, ৭০টি তাবু বিতরণ করা হয়েছে। আরও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরনের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে বন্যার্ত মানুষের অভিযোগ অধিকাংশ এলাকায় এখন পর্যন্ত ত্রাণ পৌছেনি।
আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা: সান্তাহার-ললমনিরহাট রেলপথ বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে আদমদীঘি,নশরৎপুর,তালোড়া, কাহালু, বগুড়া, গাবতলি, পীরগাছা, বামনডাঙ্গা, গাইবান্ধা, বেনারপাড়া, লালমনিরহাট, কুড়িপ্রাম ও দিনাজপুরের মধ্যে চলাচলকারী সকল প্রকার ট্রেন চলাচল দুদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।

ভ‚ঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : যমুনায় অস্বভাবিক বৃদ্ধির ফলে ভুঞাপুরে ৫টি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামে খাদ্য ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে । ভাঙন ও বন্যার কারণে দিশেহারা মানুষ মানববেতর জীবন যাপন করছেন। উপজেলার ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছে।

টাঙ্গাইল পাউবো’র বিজ্ঞান শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৭২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

চন্দনাইশ( চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামের চন্দনাইশে টানা ভারী বর্ষনের উত্তাল শঙ্খ নদী ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে প্লাবিত হয়েছে। কৃষকদের মৌসুমি ফসল পানির নীচে তলিয়ে গেছে।

 

 

 



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৩:৩৫ এএম says : 0
    বন্যার জন্য ভারত দায়ী ।
    Total Reply(0) Reply
  • Sanoar hossain shamim ১৯ জুলাই, ২০১৯, ৯:০৯ এএম says : 0
    বন্যাদুর্গত দের জন্য অতি তাড়াতাড়ি ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো ও খোঁজখবর নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ত্রাণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ