পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে প্রায় নয় মাস পর উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশ করছে বিএনপি। আগামীকাল শনিবার নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দলের কারাবন্দি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নেতাদের প্রত্যাশা সমাবেশে মানুষের ঢল নামবে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ পর্যন্ত জনসমুদ্রে রূপ নেবে। সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যের নগরী বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ পুরো বিভাগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। দীর্ঘদিন পর উন্মুক্ত স্থানে সমাবেশকে ঘিরে দারুণ উচ্ছ¡সিত তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা এবং বিভাগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। নেতারা নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার পাশাপাশি ব্যাপক গণসংযোগ করছেন।
মহানগরী এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেবেন। দূরের জেলার নেতাকর্মীদের একদিন আগেই চট্টগ্রাম নগরীতে চলে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের পাঁচ জেলার নেতাকর্মীরা বাস, ট্রাকে মিছিল নিয়ে জনসমাবেশে যোগ দেবেন। বিএনপির নেতাদের সাথে আলাপে জানা যায়, সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করা হলোও প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতিতে কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না। ফলে অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেকটা নির্বিঘেœ সমাবেশ সফলের প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি নেতারা জানান, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগের রাতে নজিরবিহীন কারচুপির মাধ্যমে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়।
সমাবেশকে ঘিরে গত পক্ষকাল ধরে এ অঞ্চলের নেতারা নিজ নিজ এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে প্রস্তুতি সভা করছেন। বিএনপির পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে করছেন মতবিনিময়। সমমনা, পেশাজীবী সংগঠনগুলোর নেতাদের সাথেও দফায় দফায় বৈঠক করেন নেতারা।
তারা বলেন, এক্ষেত্রে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা দলের এ কঠিন সময়ে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে এখন ঐক্যবদ্ধ। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে রাজপথের যেকোন কর্মসূচি সফলে প্রস্তুত নেতাকর্মীরা। আগামীকালের বিভাগীয় সমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতির মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা দেশবাসীকে সে বার্তাই দেবেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ করার প্রস্তুতি নেয়া হলেও সেখানে বন বিভাগের মেলা চলছে। বিকল্প হিসেবে জেলা পরিষদ চত্বর ও কাজির দেউড়ির অদূরে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশের অনুমতি চায় বিএনপি। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে সমাবেশ করার মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নতুন করে সংসদ নির্বাচনের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। বীর চট্টলার প্রতিটি মানুষ এ দাবির প্রতি একাত্ম।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করব। তবে আমাদের প্রত্যাশা পুলিশ সহযোগিতা করবে। জেল, জুলুম, হুলিয়া, গায়েবি মামলা দিয়ে জিয়ার সৈনিকদের দমানো যাবে না। সর্বশেষ গত বছরের ২৭ অক্টোবর একই স্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে মহাসমাবেশ করে বিএনপি। তাতে ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা যোগ দিয়েছিলেন। প্রায় নয় মাস পর শরিকদের ছাড়া বিএনপির উদ্যোগেই এ বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলন
সমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপির উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলন গতকাল নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম।
এ সময় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা এম এ হালিম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, বিএনপি নেতা এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইকবাল চৌধুরী, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।