চট্টগ্রামে
বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ ও জনতার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশ জনতার উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। জনতাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ আরও ২৬ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার সময় নগরীর ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ায় ছোট মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত
বিএনপি নেতার নাম হাজী আবুল কাসেম (৪৫) বলে জানালেও আটক ২৫ জনের নাম প্রকাশ করেনি।
বিএনপি নেতা আবুল কাসেম নাশকতা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানিয়েছেন ডবলমুরিং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মহিউদ্দিন সেলিম।
তিনি জানান, বুধবার মধ্যরাতে
বিএনপি নেতা আবুল কাসেমকে ধরতে যায় পুলিশ।
এ সময় স্থানীয় লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে পাথর ছোড়া শুরু করে। পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে। এতে থানার এসআই কিশোরসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পিছু হটে অতিরিক্ত বাহিনী নিয়ে পুলিশ ঘন্টাব্যাপী অভিযানে চালায়। এতে নাশকতা মামলার আসামী হাজী আবুল কাসেমসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার আশিকুর রহমান জানান,
বিএনপির এই নেতা খাস জমি দখল করে অবৈধভাবে বস্তি গড়ে তুলে। যেখানে ৪০০-৫০০ পরিবার বসবাস করছে। এসব বাসা থেকে পাথর ছোড়া হয়। পুলিশের উপর হামলার মামলায় আসামি দেখিয়ে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় লোকজনের দাবি, লিজ নেওয়া জমির উপর বস্তি গড়ে তোলেন
বিএনপি নেতা হাজী আবুল কাসেম। তিনি একজন সৎ ও ধার্মিক মানুষ। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাশকতার মামলা গায়েবি। তাই স্থানীয়রা জনপ্রিয় এই নেতাকে গ্রেপ্তারে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।