পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির গণ-সমাবেশ আগামীকাল বুধবার নগরীর ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। এই সমাবেশ সফল করতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিদিনই মহানগর জেলা, থানা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা, সমাবেশ, পথসভা করছে বিএনপি ও তাদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো। প্রায় একদশক পর চট্টগ্রাম অঞ্চলে বড় ধরনের এ শোডাউনকে ঘিরে তৃণমূলে এখন দারুণ উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা। গণসমাবেশ সফল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও সাবেক মন্ত্রী, এমপিসহ এ অঞ্চলের নেতারা এখন মাঠে। চট্টগ্রামসহ এ অঞ্চলের আট জেলায় চলছে সমাবেশ সফল করার প্রস্তুতি। পলোগ্রাউন্ড ময়দানকে ঘিরে ওইদিন বীর চট্টলায় জনতার ঢল নামবে এমন প্রত্যাশা বিএনপি নেতাদের।
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের সঙ্কট চলমান আন্দোলনে সারাদেশে পাঁচ নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। এ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ^াসীদের দুর্জয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম থেকেই।
কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তের পর গণসমাবেশ সফল করতে মাঠে নামেন নেতারা। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং পর্যটন জেলা কক্সবাজারের নেতাদের নিয়ে কয়েক দফায় প্রস্তুতি সভা হয়েছে। বিএনপির ইচ্ছে অনুযায়ী প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠানের অনুমতিও পাওয়া গেছে। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। গতকাল সোমবার মাঠ পরিদর্শন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। এ সময় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর পলোগ্রাউন্ড শুধু নয়, গোটা চট্টগ্রাম নগরী জনসমুদ্রে রূপ নেবে। যেইকোন মূল্যে শান্তিপূর্ণ এ সমাবেশ সফল করা হবে। জনতার স্রোতে ওইদিন সব চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ভেসে যাবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান তার নির্বাচনী এলাকা পাহাড়তলীতে গতকাল প্রস্তুতি সভা করেন। দলের অপর ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনও চট্টগ্রামে অবস্থান করে সমাবেশ সফল করতে নগর কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন গতকাল নগরীর চকবাজারসহ কয়েকটি এলাকায় গণসমাবেশের লিফলেট বিলি করেছেন। চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলাসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের আট জেলায় গণসমাবেশ সফলে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
বিএনপি নেতারা জানান, বিভাগীয় এ গণসমাবেশে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। তারা আগামী দিনে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে আন্দোলনের রূপরেখা তুলে ধরবেন। মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের এ লড়াইয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও এককাতারে সামিল হওয়ার আহ্বান জানাবেন নেতারা। বিএনপি নেতারা আশা করছেন, বিভাগীয় এ গণসমাবেশে মানুষের উপস্থিতি অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করবে। এর আগে বিগত ২০১২ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এ পলোগ্রাউন্ডে মহাসমাবেশ করেন। এরপর বিভিন্ন সময় বিএনপির উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বড় ধরনের সমাবেশ হলেও বড় কোন ভেন্যুতে জনসভা করতে পারেনি দলটি। দীর্ঘ এক দশক পর মহাসমাবেশকে ঘিরে দলের নেতাকর্মী, সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতারা এখন মাঠচষে বেড়াচ্ছেন।
পুলিশ নিরপেক্ষ হলে আ. লীগকে খুঁজে পাওয়া যাবে না : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, হামলা, মামলা, গুম ও গুলি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বিচারে হত্যা করে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। এ আন্দোলনে বিএনপির সাথে ব্যাপকহারে দেশের জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মত আওয়ামী লীগ সরকারেরও বিপর্যয় হবে। ৭২ ঘণ্টা পুলিশ নিরপেক্ষ থাকলে আওয়ামী লীগকে খুঁজেই পাওয়া যাবে না। বিভাগীয় গণ-সমাবেশে সফল করতে চট্টগ্রাম ১০ নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের থানা ও ওয়ার্ডসমূহের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, দলীয় সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেয়া হবে না। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিবর্বাচন হবে। পাহাড়তলী সাগরিকা স্কয়ারের সামনে এক বিশাল সমাবেশে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, এস কে খোদা তোতন, এরশাদ উল্লাহ, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, শেখ নুরুল্লাহ বাহার, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।