বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ককে রিকশামুক্ত ঘোষণা করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা বাদী হয়ে এ রিট করেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রিট সম্পর্কে এই আইনজীবী বলেন, রিট ফাইল করা হয়েছে। আশা করছি, বৃহস্পতিবার শুনানি হবে। রিটে আমরা রাজধানীর দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়েছি। সেই সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এ সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ ১৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রধান দুই রুটের তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সিটি কর্পোরেশন। এর পর থেকেই গাবতলী থেকে মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং কুড়িল থেকে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত রিকশা চলাচল করতে দেয়া হয়নি। তবে এ সিদ্ধান্তে ওইদিনই রাজপথে নামে রিকশা চালক এবং গ্যারেজ মালিকরা। তারা এসব রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। টানা কয়েক দিন কর্মসূচি পালনের পর সরকারের পক্ষ থেকে পৃথক লেন করে রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। পরে রিকশা চালকরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে। রিটে বলা হয়, রিকশা স্বল্প আয়ের মানুষের বাহন। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন আয়ের মানুষ রিকশা বেশি ব্যবহার করেন। এ ছাড়া এটি দরিদ্র মানুষের জীবিকারও আশ্রয়। সংবিধান মানুষকে চলাফেরার স্বাধীনতা দিয়েছে। এ কারণে মানুষের অধিকার রয়েছে তার সাধ্যের আওতায় যানবাহন সুবিধা ভোগ করার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।