পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ সীমিত করেছিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। গ্রাহকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে বকেয়া পাওনা আদায়ে এবার ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে কমিশন। বকেয়া পরিশোধ না করলে এই দুই অপারেটরকে আর অনাপত্তি পত্র (এনওসি) দেয়া হবে না। এতে গ্রামীণফোন ও রবি নতুন কোনো প্যাকেজ দিতে পারবে না গ্রাহকদের। পাশাপাশি তাদের নেটওয়ার্কের আওতা বাড়ানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বুধবার (১৭ জুলাই) বিটিআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন পদক্ষেপের কথা জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান জানান, পাওনা আদায়ে গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ সীমিত করা হয়েছিল। গ্রাহকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে বাধা তুলে নেওয়া হবে। তবে পাওনা টাকায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সালিশে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এনওসি বন্ধের পরও পাওনা না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জহুরুল হক বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে অপারেটর দু’টির ব্যান্ডউইথ প্রত্যাহার হয়ে যাবে (তারা ফিরে পাবে)। তাহলে টাকা কীভাবে আদায় হবে? আমাদের আইনে যা আছে, তা আমরা প্রয়োগ করবো। আমাদের আইনে যে ব্যবস্থা দেওয়া আছে, তা প্রয়োগ করে টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে। এটুকু সিদ্ধান্ত হয়েছে। টাকাটা পাবলিক ডিমান্ড। রাষ্ট্রীয় টাকা। এই টাকা মাফ করার কোনও সুযোগ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই টাকা অপারেটরগুলোর না দেওয়ার যেমন কোনও সুযোগ নেই, তেমনি বিটিআরসিরও না নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অপারেটর দু’টির এনওসি ইস্যু করা আমরা দ্রæত বন্ধ করে দেবো।
বিটিআরসি গত ৪ জুলাই ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পাওনার আদায়ের পদক্ষেপ হিসেবে গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ও রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এই নির্দেশনা কার্যকরের পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বড় ধরনের সমস্যায় পড়েন। বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ অ্যাপ ব্যবহারে সমস্যা হচ্ছিল গ্রাহকদের। বাফারিং ছাড়া ইউটিউব দেখা যাচ্ছিল না। অন্যদিকে কল ড্রপের সংখ্যাও বেড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় বইতে থাকে সমালোচনার ঝড়। ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করে ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে বিটিআরসি। রবির কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ অর্থের মধ্যে বিলম্বের মাশুল ও সুদও ধরা আছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে অপারেটর দু’টির ব্যান্ডউইথ থেকে বøক তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ওই বৈঠকের এক দিন পরেই বিটিআরসি সংবাদ সম্মেলন করে ব্যান্ডউইথ থেকে বøক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।