পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে প্রতি ছয়জনের একজন ভুগছে পুষ্টিহীনতায়। তাদের ভাগ্যে জুটছে না পর্যাপ্ত খাদ্য। এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে জাতিসংঘের এক নতুন প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনটি এমন সময় প্রকাশ করা হলো যখন বলা হচ্ছে ১৯৯০ সালের পর দেশ খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশংসনীয় উন্নতি ঘটিয়েছে।
অথচ, গত এক দশকে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা অন্তত ১০ লাখ বেড়েছে। ২০০৪ সালে যেখানে এর সংখ্যা ছিলো ২ কোটি ৩০ লাখ সেখানে ২০১৮ সালে তা এসে দাঁড়ায় ২ কোটি ৪০ লাখে। এ তথ্য জানা যায় ২০১৯ সালে বিশ্বে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিবিষয়ক’ প্রতিবেদনে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও, কৃষি উন্নয়নে আন্তর্জাতিক তহবিল, শিশু তহবিল, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে সারাবিশ্বে ৮২ কোটির বেশি মানুষ তথা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।
তাদের মধ্যে এশিয়াতে রয়েছে ৫১ কোটির বেশি এবং আফ্রিকায় ২৫ কোটির বেশি মানুষ।
বিশেষজ্ঞদের মত হলো: খাদ্যের সহজলভ্যতার মানে এই নয় যে সবাই খাবার পাচ্ছেন। একই সময়ে খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়নসহ বিভিন্ন রকমের ঝুঁকি রয়েছে।
স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “হ্যাঁ, এটি ঠিক যে ধান উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু, আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টির কী হবে?” আমরা ধান উৎপাদন নিয়ে কথা বলছি অথচ অন্যান্য খাবার নিয়ে কিছু বলছি না। তাই, খাদ্য উৎপাদন ও এর সহজলভ্যতার মধ্যে যে ফারাক রয়েছে তা কমানোর জন্যে যথাযথ ও টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।