পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের (এফআইসিএল) চেয়ারম্যান শামীম কবিরকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। তার বিরুদ্ধে সিলেট থেকে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। শামীমের বিরুদ্ধে ২৮টি মামলাও রয়েছে। গত সোমবার সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম টিম তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিকও।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালে অনুমোদন নিয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কার্যক্রম শুরু করে ফারইস্ট ইসলামী মাল্টি কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি.। পরে সমিতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে অনুমোদন নিয়ে ২৫টি অফিস খুলে কার্যক্রম শুরু করে। শামীম কবির ইসলাম ধর্ম পুঁজি করে ধর্মভীরু ও স্বল্পশিক্ষিত লোকজনদের আল্লাহর মহান বাণী শুনিয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন। কোরআন শরিফসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে সুসজ্জিত অফিসে দাওয়াত দিয়ে প্রতিষ্ঠানে টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করতেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বিনিয়োগ করা একলাখ টাকায় প্রতি মাসে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা হারে মুনাফা দেয়ার কথা প্রচার করতেন শামীম। শুরুতে ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কথা অনুযায়ী লভ্যাংশও দিয়ে আসছিলেন। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে সাধারণ মানুষ নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানটিতে। ২০১৪ সালে একপর্যায়ে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহকদের তিনশ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে যান শামীম। আত্মসাতের অর্থ দিয়ে তিনি কুমিল্লা ও সিলেটে প্রাসাদসম বাড়ি এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিজের নামে প্রায় ৪০ একর জমি কেনেন। প্রথমে কথিত ছিল টাকা আত্মসাত করে শামীম বিদেশে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটির তদন্ত ভার পায় সিআইডি। দীর্ঘ প্রায় চার বছর পলাতক থাকার পর এক পর্যায়ে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে শামীম কবিরকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।