মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের সমস্ত বেসামরিক বিমান যাতায়াতের জন্যে নিজেদের আকাশপথ উন্মুক্ত করে দিল পাকিস্তান। গত ফেব্রুয়ারিতে বালাকোটে ভারতের বায়ুসেনার হামলা চালানোর পর থেকে ভারতীয় বিমানগুলির জন্যে নিজেদের আকাশপথ বন্ধ রেখেছিল ইমরান খানের দেশ।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় বিমানসংস্থাগুলির সুবিধা হল, কেননা পাকিস্তানের আকাশপথ বন্ধ থাকার কারণে আন্তর্জাতিক বিমানগুলিকে ঘুরপথে নিয়ে যেতে হচ্ছিল তাদের। কর্মকর্তারা জানান, ‘পাকিস্তানের বিমান সংস্থাগুলি সোমবার রাত ১২ টা ৪১ মিনিট থেকেই তাদের আকাশপথ ব্যবহার করে উড়ানের অনুমতি দিয়েছে। ফলে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের আকাশপথের মাধ্যমে স্বাভাবিক রুট ব্যবহার শুরু করবে।’
পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার তরফে রাত ১২:৪১ মিনিট নাগাদ একটি নোটিস জারি করে বলা হয়, ‘এটিএস (বিমান ট্রাফিক পরিষেবা) অনুযায়ী অবিলম্বে পাকিস্তানের আকাশপথ সবধরণের বেসামরিক বিমান যাতায়াতের জন্যে খুলে দেওয়া হচ্ছে।’ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় বিমান বাহিনী (আইএএফ) বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে হামলা চালানোর পরেই নিজেদের আকাশপথ ভারতীয় বিমানগুলির ব্যবহারের জন্যে বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার প্রতিবাদেই পালটা বালাকোট হামলা চালায় ভারত। তারপর থেকেই, শুধুমাত্র দক্ষিণ অঞ্চলে যাতায়াতের জন্যে দুটি আকাশপথ খোলা রেখেছিল তাদের প্রতিবেশী দেশটি।
গত ৩১ মে আইএএফ ঘোষণা করে যে বালাকোট পর থেকে ভারতীয় বিমানের উপর যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল পাকিস্তান তার সবটাই তুলে নিয়ে তাদের আকাশপথ আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পাকিস্তানের আকাশপথ সম্পূর্ণ খুলে দেওয়ার ঘোষণার জন্যেই অপেক্ষা করছিল বাণিজ্যিক বিমানসংস্থাগুলি। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ঘোষণায় তাই মুখে হাসি ফুটল তাদের।
বিমান হামলার পর থেকেই, ইউরোপীয় ও মার্কিন শহরগুলির সঙ্গে ভারতকে সংযুক্ত করে এমন অনেক আন্তর্জাতিক বিমানকে ঘুরপথে চালাতে হচ্ছিল, কতগুলিকে সাময়িকভাবে স্থগিতও করা হয়েছিল।
পাকিস্তানি আকাশপথ বন্ধ হওয়ার কারণে গত ২ জুলাই পর্যন্ত দেশের জাতীয় বিমানসংস্থাটির ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। বেসরকারি বিমান সংস্থা স্পাইসজেট, ইন্ডিগো ও গো এয়ার যথাক্রমে ৪২ কোটি, ৩১ কোটি এবং ২.৮ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। গত ৩ জুলাই রাজ্যসভায় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং এক পরিসংখ্যান দিয়ে জানান এ কথা। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।