Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

একজনের মৃত্যু সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৯, ৪:২০ পিএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছেন। বন্যার পানিতে ডুবে হরিপুর ইউনিয়নের গেন্দুরাম গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে আনারুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
একটানা ১০ দিন থেকে লাগাতার বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির ঢলে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গাইবান্ধা পাউবো কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে তিস্তা নদীতে পানির স্তর ২৯.২২ সে.মি এবং ২ সে.মি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীতে বন্যার পানি বিপদসীমার ৭৪ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকায় অনেকে অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছেন। গবাদিপশু নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেরি বাঁধ ও উঁচু স্থানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিত মানুষ। তারা খাদ্য, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও জ্বালানী না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নে ৫ সহ¯্রাধিক পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার জানান, এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৮০০ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। এর মধ্যে তারাপুর ইউনিয়নে এক হাজার, বেলকা ইউনিয়নে ৬ হাজার, হরিপুর ইউনিয়নে ৪ হাজার, কাপাসিয়া ইউনিয়নে ৫ হাজার, শ্রীপুর ইউনিয়নে ৮’শ, চন্ডিপুর ইউনিয়নে এক হাজার ৫’শ ও কঞ্চিবাড়ী ইউনিয়নে ৫’শ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, ১০০ মে.টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৮৫ মে.টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ১০০ মে.টন চাল ৫ লক্ষ টাকা ও ৫’শ বান্ডিল ঢেউটিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বন্যার পানি ঢোকার কারণে ৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৫টি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে আনারুল ইসলাম নামে এক যুবক পানিতে ডুবে মারা গেছে। ইউপি চেয়্যারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে সোমবার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এছাড়া গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর কবির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাসেল মিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন। ত্রাণ বিতরণ কালে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ