নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ম্যাচের শুরুতে টস করতে গেলে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে দাঁড়ায় অধিনায়কের ‘হেড’ কিংবা ‘টেল’ নির্বাচন। তাতে শুরুতেই সাফল্যের হার থাকে ৫০ ভাগ। কিন্তু জীবনতো আর টসের মতো নয়। অথচ নিজেকেই যেন জলজ্যান্ত মুদ্রার দু’পিঠ হিসেবে চেনালেন নিউজিল্যান্ড উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল।
এ লেখাটা পড়ে অনেকেই হয়তো পড়েছেন বিভ্রান্তিতে। তাহলে মূল ঘটনায় আসা যাক। গতবারের বিশ্বকাপের আসরে ব্যাটের গর্জন শুনিয়ে সবার নজর কেড়েছিলেন গাপটিল। প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলেছিল বø্যাকক্যাপসরা। তাতে সবচেয়ে বেশি অবদান কিউই ওপেনারের। সব প্রতিপক্ষ বোলারদের জন্য দু:সপ্ন হয়ে দাঁড়ানো গাপটিল সেবার করেছিলেন ৬৮.৩৭ গড়ে ৫৪৭ রান। সেঞ্চুরি ছিল দুইটি। যা তাকে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় প্রথমে উঠিয়েছিল। এর মাঝে আরেকটি তথ্য না দিলে অবমাননাই করা হবে কিউই ব্যাটসম্যানকে। গত বারের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ২৩৭ রান! বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা এখন পর্যন্ত এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। গত বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলে মুকুটবিহীন স¤্রাট ছিলেন তিনি।
কিন্তু সাফল্য যেমন আলোচিত হয়, তার চেয়ে বেশি আলোচিত হয় ব্যর্থতা। বর্তমান সময়ে যার উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই একজনই। এবারের আসরে নিজের নামের পাশে মোটেও সুবিচার করতে পারেননি উইলিয়ামসনের এই সেনা। গতকালের ফাইনালসহ ১০ ইনিংসে ২০.৬৬ গড়ে তার মোট রান মাত্র ১৮৬! হাফ সেঞ্চুরি একটি। সর্বোচ্চ রান ৭৩!
কোনভাবেই মেলানোর উপায় নেই পাশাপাশি দুই বিশ্বকাপের পারফরমেন্স। নিয়মিত ওপেনারের ব্যর্থতায় কিউইরাও পায়নি বড় কোন উদ্বোধনী জুটি। ৩৫, ০, ১২, ০, ৫, ২৯, ২, ১, ২৯। এই হলো কিউইদের সবশেষ নয় ম্যাচের উদ্বোধনী জুটির পরিসংখ্যান। একটি অবশ্য বাদ পড়ে গেল। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান তাড়ায় ১৩৭ রানের অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং পার্টনারশিপ ছিল নিউজিল্যান্ডের। সেখানে সাফল্যের আলাদা সূত্র কি? আসলে আলাদা কোনই সূত্র ছিল না। সেই ম্যাচেই গাপটিল করেছিলেন তার এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান (৭৩)।
সর্বসাকুল্যে, গাপটিলের ব্যাটিংয়ে দলে কি পরিমান প্রভাব পড়ে তা এতেই বোঝা যায়। বিস্ফোরক এই ওপেনারের এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অর্জন জানলেও অবাক হতেই হবে। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক থ্রোতে মহেন্দ্র ধোনিকে রান আউটে ফেরান গাপটিল। শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও বিশ্বকাপের আসরে গাপটিলের এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন। ফাইনালের আগে নিজের এমন পারফরমেন্সে আক্ষেপ করে কিউই বিধ্বংসী এ ব্যাটসম্যান বলেছিলেন, ‘আমার ব্যাটিং নিয়ে আমিই সবচেয়ে বেশি হতাশ।’
নিউজিল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপ আসরের সেরা ব্যাটসম্যান কেন উইলয়ামসনের সাফল্যের পেছনেও কি তাহলে গাপটিলেরই ‘হাত’? উত্তরে মজার ছলে গাপটিল সম্মতি জানাতেও পারেন। কেননা, গাপটিল শুরুতেই ফিরে না গেলে হয়ত উইলিয়ামসন এত রান করার সুযোগ পেতেন কি-না সেটিও যে কোটি টাকার প্রশ্ন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।