মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়া শনিবার উন্নত আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থার নতুন চালান তুরস্কে সরবরাহ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ক্ষুব্ধ হলেও দেশ দুটি নিজেদের মধ্যে করা অস্ত্র চুক্তি বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে। এর জের ধরে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ন্যাটো সামরিক জোটভুক্ত দেশ। তবে সা¤প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছে তুরস্ক। খবর রয়টার্স। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, গতকাল তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে মুরতেদ বিমান ঘাঁটিতে রাশিয়ার চতুর্থ কার্গো উড়োজাহাজ অবতরণ করে। শুক্রবার বিপুল পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে ওই ঘাঁটিতে রাশিয়ার বিমান বাহিনীর তিনটি বৃহৎ এএন-১২৪ উড়োজাহাজ অবতরণ করেছিল।তুরস্কের রুশ বিমানবিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এরই মধ্যে তুরস্ক রুশ এস-৪০০ বিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও মার্কিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান একই সঙ্গে রাখতে পারে না বলে দেশটিকে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটায় আরো স্বাধীন প্রতিরক্ষা নীতি গ্রহণ করছে তুরস্ক। যার অংশ হিসেবে ২৫০ কোটি ডলারে রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে এবং এ বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য নিজেদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের অস্ত্র চুক্তি বাস্তবায়ন প্রতিরোধে ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের যুক্তি, রাশিয়ার এস-৪০০ বিমান প্রতিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খায় না। ওয়াশিংটনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং রাশিয়ার এস-৪০০ কাছাকাছি রাখা ঠিক নয়। এতে রুশ টেকনিশিয়ানরা এফ-৩৫-এর দুর্বলতা খুঁজে বের করে ফেলতে পারে। এর আগে তুরস্ক রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিলে তাদেরকে এফ-৩৫ কর্মসূচি থেকে বের করে দেয়াসহ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক বলছে, প্রতিরক্ষা কৌশলের অংশ হিসেবে তাদের এস-৪০০ প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে সিরিয়া ও ইরাকের সঙ্গে তাদের দক্ষিণের সীমান্তের সুরক্ষার জন্য। তুরস্কের দাবি, যখন তারা এস-৪০০-এর জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করছিল, তখন রাশিয়া ও ইউরোপ এর উপযুক্ত বিকল্প উপস্থাপন করেনি। ন্যাটোর দেশগুলোর মধ্যে এমন বিরোধ পশ্চিমা সামরিক জোটে মারাত্মক বিভেদ তৈরি করতে পারে। মস্কোর সামরিক শক্তি প্রতিরোধের জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ জোট গঠন করা হয়। তুরস্কে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ নিয়ে শুক্রবার সীমিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ওয়াশিংটন। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকবে। পরে তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুস আকার সঙ্গে কথা বলেছেন এসপার। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী আকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে জানিয়েছেন তুরস্কের ওপর মারাত্মক আকাশ ও মিসাইল হুমকি রয়েছে এবং এজন্যই ইচ্ছা করে নয়, প্রয়োজনের তাগিদে এস-৪০০ কেনা হয়েছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।